
গণঅভ্যুত্থান কারো একক অবদানে হয়নি, অভ্যুত্থানটা হয়েছে মূলত একটি দলের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের জনগণের-
গণঅভ্যুত্থানটা মূলত কারো একক দাবিতে সৃষ্টি হয়নি, আজ কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা যতই নিজেদেরকে প্রথম সারিতে নিয়ে যাক না কেন যদি এখানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যুক্ত না হইত তাহলে সেই সময় একটি ছাত্রকেও খুঁজে পাওয়া যেত না। এই এটা একটি সমষ্টিগত যুদ্ধ ছিল এখানে রাজনৈতিকরা পিছন থেকে বড় একটি ভূমিকায় ছিল। আপনি আমি আজকে অস্বীকার করার উপায় নেই, ১৭ তারিখ থেকে কোটা আন্দোলনকারীরা যখন আন্দোলন শুরু করে, ২০, ২১ তারিখে দুজন ছাত্র মারা যায় আর এখান থেকে স্টেপ ডাউন শুরু হয়। আর স্টেপ ডাউন ডাক দেয় জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, সারা বাংলাদেশে তিনি ঐক্যবদ্ধ করেন, এমনকি থানা থেকে ইউনিটে উনি ফোন দিয়ে কর্মীদেরকে উজ্জীবিত করেন। বিভিন্ন সুশীল সমাজকে উনি ফোন দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদেরকে উনি ফোন করেন। ছাত্রদের প্রেক্ষাপট 24 তারিখেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তৎকালীন হাসিনা সরকার প্রাই মেনেই নিয়েছিল দাবি দাওয়া, এরপর রাজনৈতিক step ডাউন শুরু হয় যেখানে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বাংলাদেশ জামাত ইসলামী, গণ অধিকার পরিষদ, চরমোনাই বিরাট ভূমিকা পালন করে। তাদের ভূমিকা ছাড়া ছাত্ররা একদিনও মাঠে টিকতে পারত না, আমরা সাংবাদিকরা মিরপুর ১০ ইসিবি চত্বর, পল্টন সার্বক্ষণিক কাভারেজ করি। আমি আজকে ছাত্র সমাজগুলোকে বলবো পরিচালনার জন্য রাজনীতিবিদদের কেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে, না হলে যে দেশটাকে গোছানো সম্ভব নয়। তাদের সরকার বিরোধী আন্দোলনটা ১৭ বছর ধরে চলমান আছে আপনি আজকে একটা কথা দিয়ে ১৭ বছরের তাদের কষ্টার্জিত ফসল ফেলে দিবেন সেটা উচিত নয়। জাতীয়তাবাদের আদর্শ লোকজন আজকে ১৭ বছর ধরে গুম খুনের সাথে যুদ্ধ করে নিজেদেরকে টিকিয়ে রেখেছে। আজ আপনি তাদের অবদান কে অস্বীকার করবেন নাকি স্যালুট জানাবেন এটা আপনার/ আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা এখনো আমাদের পত্রিকার লাইসেন্স পাই নাই আমরা এখনো অবহেলিত আমরাও তো মাঠে ছিলাম আমরাও তো গুলি বৃদ্ধ হয়েছিলাম আমাদের দিকে তো কেউ আসে নাই। আমাদের শতশত লোক আহত হয়েছে অনেক লোক এখনও কষ্টে জীবন যাপন করছে কই তাদেরকে তো কেউ দেখতে চায় না। আজকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা লক্ষ্য করতেছি ছাত্র সমাজের বিভিন্ন ছেলেপেলে বিভিন্ন জায়গা দখল করে আছে এটা জাতির জন্য ঠিক নয়। এখানে অবশ্যই মেধাকে কাজে লাগাতে হবে না হলে আগামীদিনে মেধাশূন্য একটি বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে। রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক সম্মান দিতে হবে তাদের অবদানকে অবশ্যই উচ্চতায় নিতে হবে। স্বল্প সময়ের ভিতর একটি গঠনমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। আগামী দিনের রাজনৈতিকরা যেন ভুল ভ্রান্তি না করে সেদিকে খেয়াল করে একটি ডায়নামেটিক গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে। সংস্কার যেটা দলের মধ্যে হবে সে সংস্কারের ডায়নামাটিক তৈরি করে গঠনতন্ত্র হিসাবে প্রতিটা সেক্টরে দিতে হবে। যারা সাংবাদিকতায় অবদান ছিল তাদেরকে অবশ্যই সুউচ্চ পর্যায়ে আনতে হবে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়করা তাদের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অকারেন্স গুলো করতেছে এগুলোকে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিএনপি বা অন্য দলীয় লোকজন তাদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যেন কোন জায়গায় হয়রানি সম্মুখীন না করতে পারে সেগুলো সচেষ্ট থাকতে হবে। এই দেশ আমার আপনার সকলের কষ্ট করে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত দেশ এই দেশের অধিকার সবার অবদান সবার নেতৃত্ব ছিল দুই একজনের তাদেরকে আমরা সম্মান দিই আমরা তাদেরকে সম্মান না করলে এটা আমাদের অন্যায় এটা আমাদের অপরাধ।