
আবারও অভিশংসন ভোটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। সামরিক শাসন জারির চেষ্টার কারণে শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো এই পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছেন তিনি।
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর সিউল থেকে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। এএফপি জানিয়েছে, অভিশংসন পাস করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট মেম্বারের ভোটের প্রয়োজন হবে।
এছাড়া, এই প্রস্তাব পাস করতে হলে বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারি দলের আট এমপিকেও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। সেই সময় ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওইদিন জানিয়েছিলেন, অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৫টি। প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ায় প্রস্তাবটি পাস হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের ১৯২টি বিরোধী দলগুলোর নিয়ন্ত্রণে। অভিশংসন কার্যকর হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। সে হিসেবে বিরোধী দলকে পিপিপির অন্তত ৮টি ভোট পেতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি করে দেশটির রাজনীতি এখন উত্তাল। এর ফলে, ইউনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বড় সংকটের মুখে। গত ৩ ডিসেম্বর আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন তিনি। তবে সাধারণ জনগণ ও বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।