
শিল্প ও সংগ্রাম হাঁটে হাত ধরে। মিছিলে নেমে আসে শিল্পী, স্লোগান হয়ে ওঠে গান। অন্যতম উদাহরণ ফারজানা সিঁথি। তার ভেতরে শিল্পী ও যোদ্ধা— দুই সত্তার-ই বাস। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গর্জে উঠেছিলেন রাজপথে। এবার গানচিত্রে ছড়িয়েছেন দ্যুতি। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর ও নিকিতা গান্ধীর গাওয়া ‘ইচ্ছেরা’ শিরোনামের গানে মডেল হয়েছেন। সেই অভিজ্ঞতা, পথচলা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা মেইলের কাছে ঝাঁপি খুলেছিলেন সিঁথি।
প্রথমবার রাজপথে কোটা আন্দোলনের সময় ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য “কুইন”, “বাঘিনী” “আয়রন লেডি” বিশেষণে বিশেষিত হয়েছিলেন ফারজানা সিঁথি। আন্দোলনের সময় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে ফারজানা সিথি দরাজ কণ্ঠে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেছিলেন, “আপনারা কি কোটার পুলিশ ।
এরপর আবারও জুলাই আন্দোলনে ভাইরাল হন ফারজানা সিঁথি। সে সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ উত্তাল। দেশে কারফিউ জারি করা হয়। নামানো হয় সেনাবাহিনী। ওই সময় এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে আলোচনায় এসেছিলেন শিক্ষার্থী ফারজানা সিঁথি। এরপর থেকেই সামাজিকমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ভাইরালকন্যা হিসেবে পরিচিতি পান ফারজানা সিঁথি।
তবে এই পরিচিতিতে অসন্তুষ্ট ফারজানা সিঁথি। এক সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়—আপনার নামের আগে ‘ভাইরালকন্যা’ বিশেষণটি কীভাবে দেখেন? উত্তরে তিনি বলেন, এরকম দুটি সংবাদের শিরোনাম দেখেছিলাম। ওই সংবাদমাধ্যমগুলো এক ঘণ্টার মধ্যে সংশোধন করেছে। আরও যারা এরকম করেছেন তারা না আমার কাছে জেনেছেন; না আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন। আমার একটাই কথা— ‘ভাইরালকন্যা’ কিংবা এ ধরনের শব্দ যদি আমার নামের সঙ্গে ব্যবহার করেন তাহলে আমাকে নিয়ে নিউজ করবেন না। যতগুলো সাক্ষাৎকার দিয়েছি সব জায়গায় এটা বলেছি।
সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন। এতে কি ট্রমার শিকার হয়েছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনও ট্রমার মধ্য দিয়ে যাইনি। আমাকে যখন কুইন বলা হয়েছে ক্রাউন পরানো হয়েছে তখনও গায়ে লাগাইনি। যখন গালি দিয়েছে তখনও গায়ে লাগাইনি। এছাড়া আমার বন্ধু-বান্ধব, পরিবার খুবই সাপোর্টিভ। ফলে বিষয়গুলো আমাকে আক্রান্ত করতে পারেনি।