
সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, বিশেষ করে বিমানঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব হামলায় সেই সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যেখানে সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র মজুত আছে। জেরুজালেমের আশঙ্কা, এসব অস্ত্র শত্রুশক্তির হাতে চলে যেতে পারে। তাই আগেভাগেই হামলা চালিয়ে এসব অস্ত্রের মজুত ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুই সিরিয়ার নিরাপত্তা সূত্র টাইমস অব জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো সিরিয়ার অন্তত তিনটি প্রধান সামরিক বিমানঘাঁটিতে বোমা হামলা চালিয়েছে, যেখানে অসংখ্য হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান ছিল। হামলাগুলো উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কামিশলি বিমানঘাঁটি, হোমসের গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত শিনশার ঘাঁটি এবং রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত আকরাবা বিমানবন্দর লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ১০টি অস্ত্র ডিপো এবং সামরিক স্থাপনায়ও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে কৌশলগত সামরিক স্থাপনা এবং অস্ত্র ডিপো রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত রোববার ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলায় সিরিয়ায় উন্নত মিসাইল মজুদকেন্দ্র, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, অস্ত্র উৎপাদন কারখানা এবং রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া আসাদ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত বিমান, হেলিকপ্টার এবং ট্যাংকও ধ্বংস করা হয়। রোববার থেকে ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনার ওপর প্রায় ২৫০টি হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আরকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ইসরায়েল এবং এর নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তাই আমরা কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা, যেমন অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র বা দীর্ঘপাল্লার মিসাইল এবং রকেট ধ্বংস করেছি, যাতে সেগুলো চরমপন্থীদের হাতে না পড়ে।
তাছাড়া দখলকৃত গোলান মালভূমির বাফার জোনে ইসরাইয়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এটি একটি সীমিত এবং অস্থায়ী পদক্ষেপ যা আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়েছি।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, আসাদের পতনের পর সীমান্ত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে তিনি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।