
দৈনিক জনজাগরণ ডেস্কঃ
(নিজস্ব সংবাদ প্রতিনিধি)
শাহরিয়ার রাসেলের অপকর্মের আঁতুড়ঘর মানিকদী!
রাজধানীর ঢাকা ক্যান্টমেন্ট থানাধীন মাদিকদী, ইসিবি চত্বর , সহ অত্র আশেপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে শাহরিয়ার রাসেল নামে স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর পদধারী নেতা শাহরিয়ার রাসেল। যদিও বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামলে সে ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কিন্তু পট পরিবর্তনের সাথে সাথে সে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে সরব এবং তার লালিতে পালিত বাহিনী ও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ত্রাসের রাজত্বের শেষ কোথায়?
শাহরিয়ার রাসেল সম্পর্কে তার আপন ছোট-ভাই জনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখে- তাকেও তার বড় ভাই রাসেল গুলি করে মেরে ফেলবে বলে উল্লেখ করেন…।
তার স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে


আরো জানা যায় শাহরিয়ার রাসেল স্থানীয় মানিকদী, ইসিবি চত্বরসহ আশেপাশের এলাকায় মাদক-সম্রাট হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগের মধ্যে রয়েছে চাঁদাবাজী, অবৈধ ভূমি দখল, ভূমিদস্যুতা, সন্ত্রাসবাদ, ডাকাতি, অস্ত্র-সন্ত্রাস ভাংচুর-নির্যাতন , নিজস্ব সন্ত্রাসবাহীনি গঠন, মানুষ হত্যা, এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে টাকা আদায় সহ ত এহেন কোনো আপরাধ নাই যে তিনি সে কারনি, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হত্যা মামলাসহ আরো একাধিক অপরাধ মামলা চলমান রয়েছে।


এ বিষয়ে এলাকাবাসীদের মধ্য থেকে সোহেল নামের একজন জানান, “দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট সবই আছে। যদিও বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামলে সে ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা, পট পরিবর্তনের সাথে সাথে সে এলাকা থেকে পালিয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে যা তার ফেসবুক পেজে গেলেই বুঝা যাবে। গত সরকারের আমলে পুলিশের সাথে জোগ সাজোশ করে সে এলাকার বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলাম সহ নিরীহ মানুষ কে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়নি এবং বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সে সক্রিয় ভাবে আমি, শিবলু, আহমদ আলী ও আমাদের পরিবার বর্গের নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে যাতে আমি বাধ্য হয়ে তার নামে ক্যান্টনমেন্ট থানায় সাধারণ ডায়রি করে রেখেছি”

শিপলু নামের এক ব্যাক্তি জানান-“রাসেল এলাকার ত্রাস! কেউ তার তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়। বিগত সরকারের আমলে সে চাদাবাজী, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জমি দখল, ডাকাতি, ইসিবি চত্বরে অটোরিক্সা স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা তোলা সহ নানান কুকর্মের সাথে সে জড়িত এবং আমার পাশের একজায়গায় সে ৩ কাঠা জমি ক্রয় করে ৫ কাঠার উপরে সে জমি দখল করে রেখেছে তাকে কেউ কিছু বলার সাহস পায়না, কিছু বললেই জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখায়।”
আহমদ আলী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান- “গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে ফ্যাসিবাদের দোসর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্যাডার হয়ে জুলাই-আগষ্ট গণুভ্যুত্থানে ইসিবি চত্বরে ছাত্রজনতার উপর সসস্ত্র হামলা চালায় যেগুলার ভিডিও ও ছবি এলাকার মানুষের হাতে হাতে আছে এবং তার নামে থানায় মামলা চলমান। সংক্ষুব্ধ ছাত্র ও এলাকার সাধারণ মানুষ তার ভয়ে বহু চেষ্টা করে এলাকায় ফিরে আসতে পারেনি। বিগত ১৫ বছর ধরে এলাকার সাধারণ মানুষ তার দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে আসছে। জনশ্রুতি আছে ৪ আগস্ট রাতে এলাকায় ডাকাতি করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসিবি চত্বরে ছাত্রদের উপর হামলার জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে। শীঘ্রই তাকে আইনের আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করেন এলাকার স্থানীয় জনগণ।”






এমতাবস্থায় এলাকার সকল জনগণ তার বিচার দাবী করেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।