
গত সোমবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফেসবুক পোস্টে সংযত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার পোস্টটির অনুবাদ কালের কণ্ঠের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :
শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় কিছু মহলে অপপ্রচার ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রবণতা বাড়ছে। এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ ও সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ও কিছু রাজনৈতিক মহল থেকে অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
এই প্রপাগান্ডা দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাম্প্রতিক সময়ে আগরতলায় বাংলাদেশি দূতাবাসে (কনস্যুলেট) হামলার ঘটনা এই অপপ্রচারের একটি ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই হামলা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তির জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনের পতনের পর বাংলাদেশ একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।
তবে এই পরিবর্তনের ফলে উসকানিমূলক বক্তব্য ও ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতাও বেড়েছে। ভারতীয় কিছু মহল থেকে বাংলাদেশ নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চলছে, তা শুধু জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে না, সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ককেও ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে আগরতলায় বাংলাদেশি দূতাবাসে (কনস্যুলেট) হামলা একটি গুরুতর উদাহরণ। এই ঘটনা প্রমাণ করে, তথ্যবিভ্রাট ও প্রপাগান্ডা কিভাবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
তবে এই পরিবর্তনের ফলে উসকানিমূলক বক্তব্য ও ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতাও বেড়েছে। ভারতীয় কিছু মহল থেকে বাংলাদেশ নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চলছে, তা শুধু জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে না, সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ককেও ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে আগরতলায় বাংলাদেশি দূতাবাসে (কনস্যুলেট) হামলা একটি গুরুতর উদাহরণ। এই ঘটনা প্রমাণ করে, তথ্যবিভ্রাট ও প্রপাগান্ডা কিভাবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
বাংলাদেশ অতীতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে এগিয়ে যাবে। তবে এই সময়ে বাংলাদেশের জনগণকে সংযমী হতে হবে এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে হবে। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংহতি বজায় রাখাই আঞ্চলিক শান্তির একমাত্র পথ।