
মার্কিন কর্তৃপক্ষের ঘুষের অভিযোগের বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের নিয়ন্ত্রক নীতিমালা অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আদানির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল, তিনি ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। এই অভিযোগ আদানির জন্য গত দুই বছরে দ্বিতীয় বড় ধাক্কা। এতে ভারতসহ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের একটি রাজ্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা করছে, আর ফ্রান্সের টোটালএনার্জিস নতুন বিনিয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদানিকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কে ভারতের পার্লামেন্টের কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে।
ঘুষ ও প্রতারণা ছাড়াও ২০২৩ সালে মার্কিন তদন্ত সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও জনসাধারণের উদ্দেশে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেয়ার বিষয়ও পরে যোগ করা হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আদানি গ্রুপ। তবে আদানি গ্রুপ কথা বললেও এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার গৌতম আদানি।
গতকাল শনিবার রাজস্থানের জয়পুরে গৌতম আদানি এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে আমাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আদানি গ্রিন এনার্জির নিয়ন্ত্রক নীতি নিয়ে অভিযোগ আনা হয়েছিল। এটি প্রথমবার নয় যে, আমরা এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি।’
মার্কিন কর্তৃপক্ষ গৌতম আদানি, তাঁর ভাতিজা ও নির্বাহী পরিচালক সাগর আদানি এবং আদানি গ্রিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনীত এস. জৈনকে ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি পেতে ঘুষ দেওয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রে তহবিল সংগ্রহের সময় বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেছে।
আদানি গ্রুপ অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আদানি জয়পুরে বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই, প্রতিটি আক্রমণ আমাদের আরও শক্তিশালী করে তোলে এবং প্রতিটি বাধা আমাদের জন্য একটি সিঁড়ি হয়ে দাঁড়ায়।’
গৌতম আদানি বলেন, ‘আজকের বিশ্বে, নেতিবাচকতা সত্যের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কাজ করছি এবং আমি আবারও নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা বিশ্বমানের নিয়ন্ত্রক নীতি মেনে চলতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’