
- সেপ্টেম্বরে হাতে ছিল ২ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা।
- অক্টোবরে হয় ২ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা।
জুলাই-আগস্টে দেশে রাজনৈতিক অস্থির পরিবেশ এবং সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংক খাতের নানা অনিয়ম প্রকাশ্যে আসে। এর ফলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন সাধারণ গ্রাহকেরা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আবার ব্যাংকে টাকা ফিরতে শুরু করেছে। এর ফলে মানুষের হাতে রাখা টাকার পরিমাণ কমছে। চলতি বছরের অক্টোবর শেষে মানুষের হাতে রাখা টাকার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার কোটি, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ২ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা। আর আগস্ট শেষে ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। তিন মাসে মানুষের হাতে রাখা টাকা কমেছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে সাধারণত প্রতি মাসে আগের মাসের তুলনায় আমানত বাড়ে। তবে জুলাই ও আগস্ট মাসে আমানত বাড়ার বদলে উল্টো কমেছে। তবে ব্যাংক খাত সংস্কারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত সেপ্টেম্বরে গ্রাহকদের ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা কমেছে।সেপ্টেম্বর মাস শেষে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। আগস্টে মোট আমানত ছিল ১৭ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে আমানত বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন হচ্ছে না; তারপরও টাকা তুলতে যাচ্ছেন। গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। সবাই আমানতের টাকা ফেরত পাবেন। একযোগে অধিক গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই টিকবে না।