
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার অন্তর্গত পিয়ারপুর গ্রামের মোহাম্মদ জাহিদ হাসান নামে একজন প্রবাসী সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর একটি বড় প্রতারণার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন। তার সহকর্মী মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, বোনের বিয়ের জন্য কিছু স্বর্ণালংকার এবং পাঁচটি মোবাইল সেট জাহিদ হাসানকে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনার জন্য দেন। ৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশে ফেরার সময় জাহিদ হাসান এই মূল্যবান সামগ্রী এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা আর বিল্লাল হোসেনের কাছে হস্তান্তর না করে আত্মগোপনে চলে যান।

বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, তার বোনের বিয়ের জন্য নিজ উদ্যোগে এই স্বর্ণালংকার সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার পরিবারের আশা ছিল, জাহিদ তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ না করে তার কাছে থাকা সম্পদ সঠিকভাবে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেবেন। তবে জাহিদ তার পরিবার এবং সকল যোগাযোগ এড়িয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। জাহিদের ছোট ভাই রাজু মিয়া এ ব্যাপারে কোনো সাহায্যের আশ্বাস দেননি; বরং জানিয়েছেন, “যা করতে পারেন করেন”।
বিল্লাল হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে দৌলতপুর থানায় একটি জিডি করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে, যা ভুক্তভোগী পরিবারকে আরও হতাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ বা প্রশাসন থেকেও তারা এই বিষয়ে কোনো সহায়তা পাননি। উক্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে জাহিদ হাসানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সে স্বপরিবারে পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত জাহিদ হাসানের পিতার নাম মোহাম্মদ আসমত আলী, মাতা ফাতেমা খাতুন।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের দাবি, দ্রুত বিচার নিশ্চিত হলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।