
সাইমন :
বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকার থেকে আশ্বাস পাওয়ায় আপাতত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক শিক্ষক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে
সমাবেশে বক্তারা জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়িয়ে যথাক্রমে দুই হাজার টাকা ও এক হাজার টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে শিক্ষকরা এটিকে যথেষ্ট মনে করছেন না। তারা মূল বেতনের সঙ্গে নির্দিষ্ট হারে — কমপক্ষে ২০ শতাংশ হারে — বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে অটল রয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বলেও জানান শিক্ষক নেতারা।
পর্যায়ক্রমিক কর্মসূচি ঘোষণা
শিক্ষকদের দাবির বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আজিজী। তিনি বলেন, “১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে ওই দিন থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মসূচি এবং সর্বশেষ ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে।”
উৎসব ভাতাও বাড়ছে
এছাড়াও, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার সুপারিশও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।
এর আগে, সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকরা মহাসমাবেশ শুরু করেন। দুপুর দেড়টায় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষাবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসে এবং সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়।