
মোঃ সাগর হােসন :
কুষ্টিয়া-খুলনা কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কের যত্রতত্র চলছে নসিমন,করিমন স্যালোচালিত ,ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। মহাসড়কেগুলোতে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিন চাকার যান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার কারনে বড় যানবাহনের ধাক্কায় ওইসব তিন চাকার যান দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকা তিন চাকার অবাধ চলাচলে ঘটছে প্রাণহানিও। ২০১৫ সাল থেকে দেশের ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপর ২০১৯ সালে উচ্চ আদালত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়কে তিন চাকার বাহন না চালানোর নির্দেশ দেয়।
দূরপাল্লার চালকেরা অভিযোগ করেন মহাসড়কে বর্তমানে অবাধে চলছে নসিমন করিমন, সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে চলাচলকারি তিন চাকার বাহনের চালকরা জানায়, যাত্রীদের জন্য আর নিজেদের পেটের দায়ে মহাসড়কে ওঠতে হয়। মহাসড়কে চলাচলকারি দ্রুতগামি বাস, ট্রাক, লরির চালকরা জানান, তিন চাকার যানের অত্যাচারে অতিষ্ট তারা। ড্রইভিং প্রশিক্ষণ ও সিগন্যাল না বুঝেই হঠাৎ করে মহাসড়কে ওঠে পড়ে। তখন বড় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। আইন অমান্য করে মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায়। দুর্ঘটনা ঘটলে যত দোষ বড় গাড়ির চালকের। এসব তিন চাকার নিষিদ্ধ যান রক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় বড় গাড়ি খাদে পড়ে যায়, বা উল্টে যায়। তখনও দোষ হয় বড় গাড়ির চালকের।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান জানান, প্রথমে তিন চাকার যানবাহেনর ড্রাইভার ও মালিকদের সচেতনা বৃদ্ধি করা হবে, তারপর আইন প্রয়োগ করে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন বন্ধ করা হবে। কুষ্টিয়া আওতাধীন ২টি জাতীয় মহাসড়ক ৪৯.৬৪ কি.মি. ৪টি আঞ্চলিক মহাসড়ক ৭৪.৮৮৮ কি.মি. রয়েছে।
ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী ফেরী-দাশুড়িয়া জাতীয় মহাসড়কটি (এন-৭০৪) উত্তর বঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। আহলাদিপুর-রাজবাড়ী-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া (চৌড়হাস) (আর-৭১০) আঞ্চলিক মহাসড়কটি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে স্বল্প দূরত্বের সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম।