
গতকাল অবসরপ্রাপ্ত সহস্রবাহিনী কল্যাণ সংস্থা (অসকস)গাজীপুর জেলা কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়, সৈনিক শফিক এর সঞ্চালনায় ও লান্স কর্পোরাল শফিকুল ইসলাম, সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যাণ সংস্থা অসকস (অসকস)গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় । অনুষ্ঠানের সারা বাংলাদেশের সুনামধন্য প্রতিথযশা ডাঃ ক্যান্সার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের ক্যান্সার ইউনিট প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা মেজর জেনারেল ডাঃ আজিজুল ইসলাম (অবঃ )সাহেবের বক্তব্যে ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার উপায় নিয়ে একটি সুন্দর আলোচনা করেন এতে সংগঠনের সকল সদস্যগণ অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে স্যারের বক্তব্য শোনেন এবং তিনি আরো বলেন সারা দেশে ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার উপায় নিয়ে তিনি কাজ করবেন বলে সকলকে অবহিত করেন। তিনি আরো বলেন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর সৈনিকদের বিভিন্ন মৌলিক দাবি আদায়ের জন্য একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের ব্যাপার। তিনি সৈনিকদের সু চিকিৎসা, বিভিন্ন জেলা উপজেলায় আবাসন সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যাণ সংস্থা (অসকস) কেন্দ্রীয় সভাপতি সার্জেন্ট মোঃ হুমায়ুন কবির , তিনি বলেন সারা বাংলাদেশে একটি মাত্র সংগঠন করতে হবে তাহলে আমাদের সকলের কাঙ্খিত দাবি আদায়ের জন্য সহজ হবে। এতে যেই সহযোদ্ধাগনের ভোটে নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হবেন আমাদের সংগঠন তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবে। কেউ কেউ ১০/২০ জন সৈনিকদের নিয়ে শুধু মাত্র পদ পদবীর জন্য সংগঠন করে বসে আছে, কেউ কেউ বিভিন্ন চাকুরী করে সংগঠনের সভাপতি হয়ে বসে আছে, ফেসবুক সভাপতি হয়ে কোন লাভ নেই। সভাপতি হতে হলে মাঠে ঘাটে নেমে কাজ করতে হবে। সৈনিকদের কল্যাণে সব সময় সব জায়গায় গলা উঁচু করে কথা বলতে হবে।
একটি সংগঠন হলে আমার কোন পদ পদবির দরকার হবে না কারণ আমার চাওয়া সৈনিকদের কল্যাণ তার মধ্যে রেশনের দাবি প্রত্যেককে রেশন দিতে হবে রেশন না পারলে জনপ্রতি ন্যূনতম তিন হাজার টাকা করে প্রদান করতে হবে। সৈনিকদের স্ত্রীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও সৈনিকের পরিবার, সন্তান ও বাবা মাদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা প্রদান, জেলা ও উপজেলায় ডিওএইচএসের ন্যায় আবাসন সুবিধা প্রদান, সব জেলায় অবসরপ্রাপ্তদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল স্থাপন করাতেহবে, সব জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অবসরপ্রাপ্তদের অফিসের রুম বরাদ্দ করতে হবে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের অফিসার, জেসিও ,ও অন্যান্য পদবীর সৈনিকদের জন্য ২০% কোটা সৃষ্টি করতে হবে যাতে করে মহান জাতীয় সংসদে সকল অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের কথা তুলে ধরতে পারে, তিনি আরো বলেন আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে সকল সৈনিকদেরকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে হবে।যারা এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক সেবা পৌঁছে দিতে পারে।
যে সমস্ত সৈনিকদের ছেলে মেয়ে লেখাপড়ায় ভালো কৃতিত্ব অর্জন করেছে তাদের সেনা কল্যাণ সংস্থা ও ওয়েল ফেয়ার ডাইরেক্টর থেকে বিভিন্ন প্রকার বৃত্তি প্রদান করা হয় তা অনেকেই জানেন না, এখন থেকে অবসরপ্রাপ্তরা সশস্ত্রবাহিনী কল্যাণ সংস্থা (অসকস) বাংলাদেশ তাদের বৃত্তি পাওয়ার জন্য কাজ করে যাবেন।
সেনা কল্যাণ সংস্থার পন্যের ডিলারশীপ নেয়ার ব্যাপারে সব রকম সহযোগিতা প্রদান করা হবে । সেনা কল্যাণ সংস্থার ডিলার শীপ নেয়ার জন্য যারা আগ্রহী আছেন তারা যেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংগঠনকে আরো গতিশীল করার জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে মাননীয় সেনাবাহিনী প্রধানের ভুমিকার জন্য প্রশংসা করেন এবং বলেন দেশের যেকোনো আপদকালীন সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যাণ সংস্থার সকল সদস্য সরকারের পাশে আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সার্জেন্ট মোঃ একরামুল হক সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সার্জেন্ট মোঃ কাইয়ুম মিয়া, ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম , ধামরাই উপজেলা সভাপতি সার্জেন্ট মোঃ আব্দুল আলীম সহ বিভিন্ন উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ গন
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সেনা অফিসার মেজর মোঃ মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত প্রায় ৩০০ শতাধিক সদস্য।