
আওয়ামীলীগকে রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু করতে হলে, তার যেসব পলিটিক্যাল ক্যাপিটাল ছিল সেগুলিরে আমাদের আয়ত্বে নিতে হবে। তরুনরা গত ৬ মাস ধরে, লীগের ক্যাপিটাল মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, নারী অগ্রগতিকে নিজেদের ক্যাপিটাল না বানাইয়া, বরং লীগের রাজনীতির লেগেছি ভেবে বরং দুরে সরাইয়া রাখার নীতি গ্রহন করে, লীগকে ফিরাইয়া আনার মিশনে ছিল।
২৮ জানুয়ারি একটা গুরুত্বপূর্ণ বাক নিয়েছে সমন্বয়করা মাহফুজের নেতৃত্বে। মিশন, আওয়ামিলীগকে রাজনৈতিকভাবে দেওলিয়া করা। যেন, ৭১ বা মুক্তিযুদ্ধ, নিজেরে এতিম মনে না করে। এই বাকে, কেউ কেউ ভীষন বেকায়দায় পড়বেন যারা ভেবেছিলেন, ছাত্ররা তো তাদেরই প্রোডাক্ট। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে যারা গুরুত্বপূর্ণ বাক বা টার্ন গুলো নিতে পারে তারাই গন্তব্যে পৌছাতে পারে। এজন্য এটাকে বলে টার্নিং পয়েন্ট!
স্বপ্নদেখি, বাংলাদেশে তারুন্য নেতৃত্বনির্ভর ২ পক্ষ বীরদর্পে রাজনীতি করছে। ২৪ এর তরুনরা চোখে চোখ রেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হচ্ছে সরকারী দলের। উভয়ই মুক্তিযুদ্ধ কে সম্মান করছে, ইস্যুভিত্তিক পলিসি নিয়ে বিতর্ক করছে। যেন, আওয়ামীলীগের অভাববোধ নাই হয়ে যায় বাংলাদেশ থেকে।
মুক্তিযুদ্ধ , সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, নারী অগ্রগতি এই ৩ বিষয় ছাড়া লীগের রাজনীতি জাস্টিফাই করার কোন ক্যাপিটাল ছিল না। শহুরে মধ্যবিত্ত যারা ২৪ এ মাঠে নেমেছিল বলেই হাসিনার পতন হয়েছিল, তারা এই ৩ ক্যাপিটালকে আপন মনে করে। এই ক্যাপিটালকে নিজেদের করে নেন, নারী স্বাধীনতায় চাম্পিয়ান হোন, দেখবেন লীগের ফিরে আসাপ কবর রচিত হয়েছে।
২/৫ জন যারা এই বাইনারির বিরোধিতা করবেন, তারাও সমাজে সব কালে ছিলেন, আছেন, থাকবেন সংখ্যালঘু হিসেবে। সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করার নামই গনতন্ত্র, সুশাসন।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তারুন্যের হাত ধরে।