
সাভারের আশুলিয়ায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ। আসামিপক্ষের লোকজনের হামলায় রবিউল নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ চারজন আহত হয়েছে। এ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে রাতভর অভিযান চালিয়ে ১৫ জন আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার ২১ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশের খবরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক।
এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকার সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত পুলিশ সদস্য মো. রবিউল ইসলাম। তিনি আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একটি টিম। এসময় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ইয়ারপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিল উদ্দিন ভূঁইয়া রাজনের আপন ছোট ভাই একাধিক মামলার আসামি রাকিব ভূঁইয়াকে ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠ থেকে আটক করে পুলিশ।
আটকের খবর পেয়ে জলিল উদ্দিন ভূইয়া (রাজন) ও তার ভগ্নিপতি ইয়ারপুর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালাম মাদবরের লোকজন এসে আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা পর্যন্ত আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতা কালাম মাদবরের লোকজন জড়িত ছিলেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের সাহায্য করছেন। তবে তার লোকজন জড়িত আছে কিনা আমি জানি না। ’
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, একটু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। ধাক্কাধাক্কির সময় একজন আহত হয়েছেন। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মোহাম্মদ আব্দুল বারিক তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের হবে বলে। এছাড়া হামলার ঘটনায় অভিযান এখনও চলমান রয়েছে।