
২০১৪ সাল থেকে পাঁচবার ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে খেলেও কখনও হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) কাতারের দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে তারা আবার ট্রফি জয় করে। এই শিরোপা জয় দিয়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরা এই প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডটি ছয়ে উন্নীত করল।
ভিনিসিউস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপে ও রদ্রিগোর গোলে সাফল্যে ভরা বছরের শেষেও আরেকটি শিরোপা জিতল ইউরোপের সফলতম দলটি।
অনেক শিরোপায় ঠাসা রেয়াল মাদ্রিদের শোকেসে যুক্ত হলো আরেকটি শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক। নতুন আঙ্গিকের ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতে সাফল্যে ভরা বছরটি আরেকটি অর্জন দিয়ে শেষ করল ইউরোপের সফলতম দলটি।
পাচুকার বিপক্ষে কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত খেলায় ৩-০ গোলে জয় পেয়ে দুই বছর পর ট্রফি জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ের মাধ্যমে কার্লো আনচেলত্তি ক্লাবটির সবচেয়ে সফল কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন। ইতালিয়ান কোচের অধীনে রিয়াল মাদ্রিদ এখন পর্যন্ত ১৫টি শিরোপা জিতেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ (২০১৩-২০১৫ এবং ২০২১-বর্তমান), দুটি লা লিগা, দুটি কোপা আমেরিকা, দুটি কোপা দেল রে, দুটি স্প্যানিশ সুপার কাপ, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ, দুটি বিশ্বকাপ এবং এখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।
এই জয় দিয়ে ডন কার্লো পেছনে ফেলেছেন কিংবদন্তি কোচ মিগুয়েল মুনোজকে, যিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দুটি ইউরোপিয়ান কাপ, ৯টি লা লিগা, দুটি কোপা দেল রে ও একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছিলেন।
মেক্সিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এমবাপ্পে ছাড়াও গোল পেয়েছেন রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। কাতারে একপেশে লড়াই করে জয়ী হয়েছে রিয়াল। যদিও প্রতিপক্ষ মাঝে মাঝে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে তাদের হুমকি দিয়েছে, তবুও রিয়াল কোনো ভুল করেনি।
৩৭তম মিনিটে দলগত আক্রমণে চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ীরা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। জুড বেলিংহ্যামের পাস থেকে ভিনিসিয়ুস গোলটি দেয়, আর এই ব্রাজিলিয়ান গোলকিপারকে কাটিয়ে এমবাপ্পে সহজেই গোল করেন।
৫২তম মিনিটে এমবাপ্পের অ্যাসিস্টে রদ্রিগো ব্যবধান আরও বাড়ান। তিনি দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের উঁচু ও কোনাকুনি শটে গোল করেন।
৮৩তম মিনিটে ওসামা ইদ্রিসি রিয়াল অধিনায়ক লুকাস ভাসকেসকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ভিনিসিয়ুস, আর রিয়াল মাদ্রিদ জয় নিশ্চিত করে।