
মূল সড়কে চলাচলের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে তাঁরা। অবরোধের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক স্বাভাবিক করতে আন্দোলনরত রিকশাচালকদের ধাওয়া করে স্থানীয় বিএনপি ও তাঁর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে চালকেরা। ওই হামলায় বাসযাত্রীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। পরে কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থী খবর পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আবার রিকশা চালকদের ধাওয়া দেয়। পরে রিকশাচালকেরা সড়ক ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরও প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রিকশাচালক জয়নাল আজকের পত্রিকা বলেন, ‘রিকশা চলতে না দিলে আমরা না খেয়ে মরে যাব। কি করে খাব?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দাবি নিয়ে আসছি, রাজনীতিবিদরা আমাদের পেটাইতে আসে। আমরা কই যাব।’
সোহেল নামে আরেক রিকশাচালক বলেন, ‘কয়েক মাস আগে সমিতি থেকে কিস্তি নিয়ে রিকশাটি কিনছি। এখন যদি চলতে না দেয়, তাহলে আমরা পরিবার নিয়া ক্যামনে চলব? কিস্তির টাকা দেওয়াও কষ্ট হয়ে যাবে।’
এর আগে সকাল ৯ টা থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, কোনাপাড়া, শনিরআখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রিকশাচালকেরা যাত্রাবাড়ী- ডেমরা সড়কের কাজলারপাড় এসে জড়ো হন। এতে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়ক, শহীদ ফারুক সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ওয়ারী জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অটো রিকশা চালকেরা সকাল ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার মোড়ে সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে আমি রিকশা চালকদের সড়ক থেকে সরে যেতে বললেও তারা রাজি হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা কিছু দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করে। হামলায় কয়েকজন যাত্রীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশকে দেখে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়। ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত।