
ঢাকা স্টাফ রিপোর্টার :
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরাচারের পতনের পর ঢাকার কয়েকটি বস্তি ও ফুটপাতের দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নতুন কয়েকটি গ্রুপ।
নতুন দখলদার এই গ্রুপগুলো নিজেদের বিএনপি-সংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচয় দেয়। পূর্বে আওয়ামী লীগ পদ পদবী থাকলেও দখল বানিজ্য টিকিয়ে রাখতে এখন বিএনপির ব্যানারে লুটপাট, দখল, বাণিজ্য মেতে উঠেছে।আওয়ামী লীগের যেসব জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতেন সেসব জায়গার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে আছে বেশ কিছু বস্তি,যোগাযোগ মাধ্যমে এমন চিত্র দেখা যায়। কড়াইল বস্তি বেলতলা বস্তিও অন্যতম। অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে অবৈধ কর্মকান্ডে ভাবে মাদক গ্যাস বিদ্যুৎ সহ নানান অপরাধে শেন্টার দিয়েছিলেন তারা। ফুলমিয়া, জামির, মাস্টার জামাল,মামলাবাজ রেশমি তাদের অন্যতম একটি হাতিয়ার। এখনো তারা চাঁদাবাজি ন্যায় রাজ্য সৃষ্টি করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পদপ্র টিভি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এলাকার দাবি বেড়াচ্ছেন এমনটাই জনগণের মনে। যার অন্যতম নেশা ও পেশা সেই দোকানপাট, আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন ক্লাব ও অফিস।তবে বিএনপি ও সরকারের হুঁশিয়ারির পর কিছু জায়গা থেকে দখলদাররা পিছু হটেছে।
অনেক জায়গাতেই চাঁদাবাজদের প্রতিরোধে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে সক্রিয় হতে দেখা গেছে।
বস্তির নিয়ন্ত্রণ রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এখান থেকেই অর্থের বিনিময়ে মিছিল ও সমাবেশে লোক ভাড়া করে আনা হয়।
আওয়ামী লীগের একটি সিন্ডিকেট বস্তিতে অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীও এই সিন্ডিকেটে জড়িত।
আওয়ামী লীগের লোকজনের নিয়ন্ত্রণে ছিল এমন পাঁচটি বস্তি ঘুরে দেখেছে আমাদের প্রতিবেদক। এসব বস্তির ঘর ও দোকানপাটের দখল নিতে নতুন গ্রুপগুলো তৎপর।
ঢাকার বনানীতে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় বস্তি কড়াইলে গিয়ে দেখা যায়, বস্তির কয়েকশ ঘর ও দোকানপাট এর মধ্যেই নতুন দখলদারেরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, যা এর আগে আওয়ামী লীগপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্থানীয়রা জনায়, তারা বস্তির কিছু ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে লুটপাট চালিয়েছে।
পেশায় পাইকারি ব্যবসায়ী কড়াইল বস্তির বৌবাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, বস্তিতে তার একটি দোকান আছে।