
মোঃ রিপন আহমেদ :
মহানগর খিলক্ষেত থানার আওয়ামী লীগ মহিলালীগ নেত্রীর শশী আক্তার শাহিনা ও খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগ, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক।
স্থানীয় গোপন তথ্য সূত্রে জানা যায় গত ১৫-ই আগষ্ট রাতের বেলায় খিলক্ষেত আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের নিয়ে খিলক্ষেত থানার মহিলা লীগ নেত্রী শশী আক্তার শাহিনার নেতৃত্বে খিলক্ষেত লেকসিটি এলাকায় গোপন মিটিং করেছেন। স্থানীয় তথ্য মতে ধারণা করা হচ্ছে এই গোপন মিটিং থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টির কলা-কৌশল করা হচ্ছে।
শশী আক্তার শাহিনা তার পরিবার ও স্বামীর সহযোগিতায় খিলক্ষেত এলাকায় গড়ে তুলেছে গোপন আস্তানা। যেখানেই সব সময় আওয়ামী লীগের গোপন মিটিং হয়। কেউবা ধারণা করছেন আওয়ামী গেরিলালীগ নামে সংগঠনের সহযোগিতা হিসেবে এই আওয়ামী নেত্রী কাজ করে চলেছেন।
বিগত দিনেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের সকল নৈরাজ্যের সাথে জড়িত ছিল এই শশী। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের অধীনে থাকা ঢাকা ১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের সাথে থেকে খিলক্ষেত এলাকায় দাপটের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিগত ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে সর্বপ্রকার অর্থ যোগান দ্বাতা ছিল আওয়ামী লীগের এই নেত্রী।আর খিলক্ষেত এলাকা থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় সহ জোর পূর্বক জমি দখল করে বানিয়েছে টাকার পাহাড়।এলাকায় গোপন সূত্রে জানা যায় এখনো থেমে নেই এই আওয়ামী লীগ নেত্রীর কার্যক্রম।তার কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন তার পরিবার। এবং খিলক্ষেত এলাকায় গড়ে উঠেছে বহুতলা ভবন।
খিলক্ষেত থানার আওয়ামী লীগ নেত্রী শশী আক্তার শাহিনা এবং তার পরিবারসহ বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের থানা সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন এর অনুসারী ও আওয়ামী সাংসদ সদস্যের দাপট দেখিয়ে খিলক্ষেত এলাকায় চালিয়েছে নানান অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।
স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ উঠেছে,বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আমল থেকে আওয়ামীলীগের নেত্রী শশী আক্তার শাহিনা তার দুই ভাই সহ খিলক্ষেত লেগসিটি এলাকায় বিএনপি নেতাদের জমি,প্লট, বাড়ি গুলো দখল করে নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।আর ঐ সব জমি গুলো ভাড়া বানিজ্য শুরু করে রমরমা টাকা কামানো ছিল তাদের কাজ।
আওয়ামী লীগের দাপটে স্থানীয় এলাকার দোকান গুলোতে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করে বানিয়েছে টাকার পাহাড়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এখনো দোকান গুলো থেকে টাকা আদায় হচ্ছে আওয়ামী লীগ এই নেত্রী ও তার পরিবারের নামে। এখনো তাদের দাপটের কমতি নেই।প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ উঠেছে,এই আওয়ামী নেত্রীর নামে খিলক্ষেত থানায় ছাত্র হত্যার মামলা সহ বিভিন্ন ধরনের মামলা জড়িত থাকা সত্ত্বেও কেনো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, প্রশাসন? প্রশ্ন জনগণের। স্থানীয় জনগণের দাবি এই আওয়ামী লীগ নেত্রীর জন্য এখনো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজমান। খুব দ্রুত আইনের আশ্রয় চাচ্ছেন জনগণ।