
এম এ গাফফার :
মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। যিনি রংপুর পীরগঞ্জের মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজের কারিগর নামে বর্তমানে পরিচিতি অর্জন করেছে। এই শরিফুল ইসলাম রংপুর পীরগঞ্জের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের মায়ের নাম ভাঙিয়ে রংপুর এবং বিশেষ করে পীরগঞ্জে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি করে আসতেছে।
এই শরিফুল ইসলাম রংপুর পীরগঞ্জের শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই এবং এই পরিবারের যত আত্মীয়-স্বজন গীতি-গোষ্ঠী আছে এবং যাদের নামে মামলা হয়েছে তাদেরকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার নাম করে এবং তাদের নাম চার্চ র্সিট থেকে কাটার কথা বলে তাদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা মামলা বাণিজ্য করে ফেলেছে।
এই টাকা দিয়ে শরিফুল ইসলাম রংপুর কামারপাড়ায় বিশ শত ক জমি দুই কোটি চল্লিশ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছে। এমনকি রংপুরের টেম্পু স্টান্ট রংপুরের মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন রংপুরের ট্রাক ও ট্রাংগালোরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেন। এমনকি যারা শরিফুল ইসলামকে টাকা দিতে অস্বীকার করে তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে হুমকি দেন।
এই শরিফুলকে টাকা না দেওয়ার কারণে পীরগঞ্জের কামাল হোসেনকে উনি মিথ্যা মামলায় নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন । আর কথায় কথায় শহীদ আবু সাঈদের ভাইয়ের নাম ভাঙ্গায় এবং তার মায়ের নাম ভাঙ্গায়। রংপুর পীরগঞ্জের জায়গীর সঠিক বাড়ি নামক বাজার থেকে বিভিন্ন মোটরসাইকেলের শোরুম থেকে নিয়মিত চাদা আদায় করিতেছে। শুধু রংপুর পীরগঞ্জ এই চাঁদা নিয়ে সে খ্যান্ত নয়।
এমনকি গাইবান্ধা কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট রংপুর সদর রংপুর কামারপাড়া বিভিন্ন মানুষকে মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে এবং শহীদ আবু সাঈদ এর খালাতো ভাই বলে পরিচয় দিয়ে সে বিভিন্নজনের কাছ থেকে মামলার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করিতেছে । তার এই মামলা বাণিজ্যের ভয়ে এলাকার লোক অনেক শংকিত অবস্থায় জীবন যাপন করিতেছে। পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম যিনি পেশায় একজন কীটনাশক ও সার ব্যবসায়ী।
এই ভেন্ডাবাড়ির কীটনাশক ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের কাছ থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে নগদ ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এই ভুক্ত ভোগীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে শহী দ আবু সায় ীদ তার খালাতো ভাই এবং শহীদ আবু সাঈদের মা তার খালা এই নাম ভাঙ্গিয়ে সে নিয়মিত চাঁদাবাজি এবং মামলা বাণিজ্য করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
রংপুর পীরগঞ্জের পশ্চিম পাশের টেম্পু ইস্টার্ন অটো রিকশা স্ট্যান্ড থেকে ভেন্ডাবাড়ি টেম্পু স্ট্যান্ড এবং অটো স্ট্যান্ড থেকে সে নিয়মিত চাদা আদায় করিতেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়া অনেক অভিযোগ এবং দুর্নীতি প্রকাশ করেছে কিন্তু এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই । আমরা কোনভাবেই শহীদ আবু সাঈদের অসম্মান দেখতে চাই না।
শহীদ আবু সাঈদ নিঃস্বার্থভাবে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন । অথচ তার নাম ভাঙ্গিয়ে আজকে মোঃ শরিফুল ইসলাম মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে । তাই এই চাঁদাবাজের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হলো যাতে প্রশাসন এর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে । তাই রংপুর পীরগঞ্জবাসী এই চাঁদাবাজ ও মামলা বাণিজ্যের কারিগর শরিফুল ইসলামের দ্রুত বিচার ও শাস্তি দাবি করছে ।
মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, পিতা মোঃ আব্দুস সোবাহান সরকার । মাতা মোসাম্ম ৎ সাহানা বেগম । ঠিকানা ওয়ার্ড নাম্বার পাঁচ পীরগঞ্জ সদর জেলা রংপুর ।