
পরাশর মুখার্জি রিপন-আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনি উপজেলার মানিক খালি ব্রিজ টু বড়দল মেইন সড়কের ফকরাবাদ গার্লস স্কুলের সামনে রোডস এন্ড হাইওয়ে সড়ক এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী বড়দল হাটের চলাচলের একমাত্রই রাস্তা এটি।
রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান, ইঞ্জিনভ্যান, নসিমন ও করিমনে মানুষ জাতায়াত করে। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে আশাশুনির সংযোগস্থল পাইকগাছা, কয়রা তালা, শ্যামনগর, দেবহাটা, কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা জেলা ও খুলনা বিভাগের যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে। মানিকখালী ব্রিজ টু বড়দল রোডস এন্ড হাইওয়ে রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৭কিলোমিটার।
এরমধ্যে জামালনগর ফুলতলার সামনে, ফকরাবাদ পাউয়ার হাউস ও বুড়িয়া হাসপাতালের সামনে পিচের রাস্তার ওপরে ইট দিয়ে দ্বিতল ভবনের মত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। যেটা ইতিপূর্বে আজব রাস্তা হিসেবে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হয়েছে। স্টাটার আকরাম হোসেন জানান, মানিকখালী ব্রিজ টু বড়দল সড়কের প্রায় ১০০জায়গায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। বাস চলাচলে খুবই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
যাত্রীদের চলাচলের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিদিন ধাক্কা এবং ইটের খোয়া লেগে বাসের গ্লাস ভেঙে যাচ্ছে। সুব্রত মন্ডল ও ভগিরথ মন্ডলসহ রাস্তার পার্শ্ববর্তী অসংখ্য নারী-পুরুষ এবং পথযাত্রী জানান, প্রতিনিয়ত এখানে বিভিন্ন যানবাহন বড় বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এমন কোন দিন নেই রাস্তার যাত্রীদের মাথায় পানি ঢেলতে হয় না।
গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সনাতন বৈরাগী জানান, বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা বড় ধরনের গর্ত হয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ির জ্যাম লেগে থাকে। এই বিদ্যালয় মোট ১৩২জন ছাত্রী রয়েছে। যাদের পাঠদানে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাসএবং ট্রাক জ্যাম লেগে থাকে ও স্কুলের প্রাচীরে ধাক্কা দেয়, যেকোনো মুহূর্তে স্কুলের প্রাচীর ভেঙে পড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।