
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় আহত বিএনপির নেতা রহিম উদ্দিন সিকদারের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত রহিম কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের মরশাপাড়া এলাকায় একজন প্রবাসীর একটি জায়গা ৫ আগস্টের পর থেকে কক্সবাজার পৌরসভার ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আল নোমানের নেতৃত্বে দখল করার চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় প্রবাসীর পরিবার কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা-পুলিশ স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান সিকদার উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে সমস্যার সমাধান করে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন জামায়াত নেতা নোমান।
এর জেরে গত রোববার রাতে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকায় শফিকুর রহমান সিকদারের ভাই রহিম উদ্দিন ও তাঁর স্বজনদের ওপর হামলা চালানো হয়।
নিহতের ভাই শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, ‘রোববার আমার চাচাতো ভাই জাহেদ সিকদার মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে নোমানের নেতৃত্বে তাঁর গতিরোধ করে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে আমার ভাতিজা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব সিকদার, ভাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রহিম সিকদার, শাহিন সিকদার ও জসিম সিকদার ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তাঁদের ওপরও হামলা করা হয়।’
পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদেরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সাকিব, রহিম ও শাহিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে রহিম উদ্দিন আজ সকালে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং সাকিব সিকদার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান রহিম সিকদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মামলা করা হয়নি।
ওসি আরও জানান, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিজানুর রহমান নামের একজনকে আটক করেছে। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।