
মোঃ আবুল কালাম-নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) :
নবীনগরে এক প্রবাসী আরেক প্রবাসীর কাছে ভাই ও মা এর মাধ্যমে জায়গা বিক্রি করে,এখন প্রবাস থেকে এসে জোর পূর্বক বিক্রিত জায়গা দখল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বিটঘর ইউনিয়নের ভদ্রগাছা গ্রামের পূর্ব পাড়ায় ২০১৯ সালে রাস্তার পাশে ২২ শতাংশ জমি বিক্রি করে ২১.৬৫ শতাংশ দলিল করে দেওয়া হয়। ফের ৭ বছর পর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রবাসী সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে। এতে পাল্টাপাল্টি মামলা-অভিযোগে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে এলাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অর্থনৈতিক চাপে পড়ে প্রবাসে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে সোহাগ আলী তার পৈতৃক পুকুর ভরাট করে বিক্রির কথা জানায় স্থানিয় মানুষদের। এতে খবর পেয়ে উৎসাহিত হয়ে আরেক প্রবাসী আক্তার জমিটি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করলে গ্রামের সাহেব-সর্দ্দারদের দিয়ে ৪৭ লক্ষ টাকা নগদ দিয়ে জমিটি ক্রয় করেন। এ সময় সোহাগ আলীর ভাই ও মা জমিটি দলিল করে দেয় আক্তারের নামে। অথচ সোহাগ আলী ৭ বছর পর এসে দাবি করছেন তিনি জমিটি বিক্রি করেন নাই। রাতের আঁধারে বাঁশ দিয়ে জমিতে বেঁড়া দিয়ে নিজের বলে দাবি করে। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করা আক্তার ঘটনাটি জানতে পেরে এলাকায় এসে সাহেব-সর্দ্দার ও স্বাক্ষীদের কাছে ন্যায় বিচার চাইলে সোহাগ জমিটিতে ফোরটি ফোর অভিযোগ করে।
সোহাগ আলী জানান, আমি জমি বিক্রি করি নাই, আমার ভাই আর মা জমি বিক্রি করছে। আমি এখনো জমির মালিক।
আক্তার জানান, আমি যখন জানতে পারি সোহাগ জমি বিক্রি করবে তখন প্রবাস থেকে টাকা পাঠিয়ে আমি জমিটি ক্রয় করি। যেহেতু তাদের পৈতৃক জমি বন্টন হয় নাই সেই কারনেই সাহস করে কিনি। কারন সোহাগ তখন বিদেশে ছিলো, আমাকে প্রুতিশ্রুতি দিয়েছিলো কোন ঝামেলা হবে না। প্রয়োজনে ভাইদেরর অন্য জমি থেকে জায়গা সে দিয়ে দিবো। তারা আমাকে জানায় ২২ শতাংশ জমি অথচ দলিল করে দেয় ২১ শতাংশ ৬৫ পয়েন্ট।
স্থানিয় সর্দ্দার আলী আজ্জম জানান, সোহাগ ঋনের চাপে জমি বেঁচতে চাইলে তার মা-ভাইদের দিয়ে জমি দলিল করে বিক্রি করে আক্তারের কাছে। এখন কেন এসব করতেছে জানি না।
আব্দুর নূর জানান, আক্তার নগদ ৪৭ রক্ষ টাকা দিয়ে দলিল করে জমিটি ক্রয় করে। আমরা গ্রামের ষোল আনা মানুষই এটা জানি।
আরু মিয়া জানান, ২০১৯ সালে সোহাগ প্রবাসে থেকে মা-ভাইদের দিয়ে জমিটি বিক্রি করে। তাদের পারিবারিক অবস্থা তখন অনেক খারাপ ছিলো।
অহাদ মিয়া জানান, বিটঘর-বটতলী রাস্তার পাশে এখন জমিটি পড়েছে। আগে তো এখানে রাস্তাও ছিলো সরু। রাস্তাটি বড় হওয়ায় জমি-জমার দাম অনেক বেড়ে গেছে। হয়তো এই কারনেই সোহাগ ঝামেলা করতেছে।