
জুলফিকার আলী জুয়েল :
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লালুয়া বাগলী এম.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয় আজ যেন এক পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে। ১৯৬৮ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টি শিক্ষা বিস্তারে এক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, বর্তমানে এর অবকাঠামো ও শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ চিত্র জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ভবনই জরাজীর্ণ, ভাঙাচোরা ও অপরিষ্কার অবস্থায় পড়ে আছে। শ্রেণিকক্ষগুলো বসার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ে, দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে, মেঝে ভাঙাচোরা। এতে পাঠদান কার্যক্রমে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন ক্লাস করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আবেদন করে আসছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
এ বিষয়ে এক অভিভাবক জানান, “আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপদে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ দিতে চাই, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণ না হলে শিক্ষার মান আরও অবনতি ঘটবে।”
এলাকাবাসী, শিক্ষক, শিক্ষিকা ও সচেতন মহলের দাবি, অতি দ্রুত বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার এবং নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি নিরাপদ ও উপযুক্ত পরিবেশে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে।
একটি জাতির ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। লালুয়া বাগালী এম.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের এমন দুরবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।