
স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার কিছু নিরীহ মানুষকে ভুলবশত আসামি করার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি অভিযোগে দেখা যায় এসআই (নিরস্র ) মোঃ মানিক মিয়া এবং এএসআই (নিরস্র ) মোঃ জহুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ভারতীয় জিরা সহ গ্রেফতার করে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (৩৫), পিতা মোঃ সোহরাব মিয়া যাদের কাছ থেকে তথ্য মতে ১৯ বস্তা ভারতীয় জিরা উদ্ধার করে। ১৬/০৪/২০২৫ ইং তারিখে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করা হয়, মামলা নাম্বার ১১, ধারা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি দায়ের হয়। এখানে মামলা হলে, তথ্য নিয়ে জানা যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ভুলবশত হয়তো বিরোধী মতের লোকজনের সাক্ষীদের আলোকে এলাকার নিরীহ লোকজনকে মামলায় জরায়ে হয়রানি করা হয়। এগুলো সাক্ষী হিসেবে যারা ছিলো, তারা বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নেতাকর্মী বা সমর্থক ছিল। তাদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে, অজ্ঞাত না হয় নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয় এইগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিবেচনায় আনা উচিত। এই মামলায় মোঃ রুসমত, পিতা জিন্নাত আলী এবং মোঃ তোতা মিয়া, পিতা মৃত মিয়া হোসেন নিরীহ দুজন মানুষকে আসামি করা হয়। তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর না নিয়ে কেন আসামি করা হলো এই ব্যাপারটি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দেখা উচিত। অন্যদিকে ২৬/০৪/২০২৫ ইং তারিখে মামলা নাম্বার ২০, যেখানে ইয়াবা সহ গ্রেফতার করা হয় মোঃ রাসেল মিয়া, পিতা আবুল হোসেন এবং মোঃ আবু সাঈদ সরকার সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী দেখানো হয়। আবু বক্কার নামে যে ব্যক্তিকে অজ্ঞাত নামা হিসাবে আসামি করেন তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের লোকজন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করেন। তার পিছনে গভীর চক্রান্তের ফাঁদ পেতে রেখেছেন মন্ন্যাস নামের হালুয়াঘাট থানার পূর্বগোবরা কোরা গ্রামের একজন বাসিন্দা। তিনি নিরীহ মানুষকে জড়িয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন। বিষয়গুলো তদন্ত করার সময় এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে করা উচিত ছিল বলে এলাকাবাসী মনে করে, যেন কোন নিরীহ মানুষ আসামি না হয়। ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি মহোদয় এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়গুলো অধিকতর তদন্ত করা উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করে , না হলে নিরীহ অসহায় মানুষরা আইনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। অত্র অবৈধ জিনিসগুলো যারা আটক করেছেন তাদেরকে বাহবা দেওয়া উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করেন তবে কোন নিরীহ ব্যক্তি যেন আসামি না হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।