
ক্রাইম রিপোর্টার :
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর কাজি কসবা গ্রামে সরকারী খাল দখল করে একাধিক স্থানে পাকা ভবন,গেইট সহ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে।ওই গ্রামের মৃত-রহমান ভূইয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন(টেলি) ও মৃত-আশরাফুল আলী বেপারির ছেলে শাহজালাল এ সমস্ত স্থাপনা নির্মাণ করছেন।এদিকে, স্হানীয়রা বলছে গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্হানীয় প্রশাসন নরভড়ে এ সুযোগে সৎ ব্যবহার করছে দখলদাররা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলা রামপাল ইউনিয়নের উত্তর কাজি কসবা গ্রামে তোফাজ্জল হোসেন টেলি খালের পুরো অংশ দখল করে ইতিমধ্যে বাড়ি হতে বের হওয়ার প্রসস্ত পাকা রাস্তা ও বাড়ির গেইট খালের উপরে নির্মাণ করছেন।তার পাশেই খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন স্হানীয় কন্ট্রেকদার শাহজালাল বেপারি।এখানে শাহজালাল ভীম করে ফ্লোর ঢালাই করেছেন।
একাধিক স্থাণীয়রা জানান,ওই স্থানের খালটি সদর উপজেলার মীরকাদিম নদী বন্দর এলাকা হতে কাজি কসবা গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রভাহিত হয়ে সদর উপজেলার কাটাখালী প্রসস্ত খালের সাথে মিলিত হয়েছে। এক সময় এই খাল দিয়ে সকল ধরনের নৌযান চললেও দখলের কারনে খালটি এখন মৃত প্রায়। এখন নৌযান না চললেও খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো।কিন্তু বিগত প্রায় ৬ মাস আগে খালের উওর কাজি কসবা সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০০ মিটার পশ্চিমে পুরো অংশ দখল করে বাড়ির গেইট ও রাস্তা নির্মাণ করেন তোফাজ্জল হোসেন টেলি।তাকে দেখে তাহার পূর্ব পাশে খালের বিস্তির্ণ অংশ দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন শাহজালাল।
স্থাণীয় হাসেম সেখ বলেন, এ খালটি মীর কাদিম হতে সদর উপজেলার মুন্সিরহাটের খালের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।খালটি দিয়ে আগে নৌকা চলত। আমার মনে আছে আমার বড় ভাইকে নৌকা দিয়ে এই খাল দিয়ে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করাইয়া আনছি।এখন খালের অনেকটা অংশ দখল হয়ে গেছে। ৯৮ বন্যার সময়ও এ খাল দিয়ে নৌকা চলছে।
কামরুল হাসান বলেন,খালটি দিয়ে এখন নৌকা না চললেও এ এলাকার পানি খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়।পানি প্রবাহের জন্য খালের মধ্যে একটি কালভাট কয়েক বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে।কিন্তু সেই কালভার্টের গোড়া পুরো ভরাট করে এখন বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত শাহাজালাল বলেন, আমি যেখানে ভবন নির্মাণ করছি সেখানে আমাদের জমি আছে এবং সরকারী খালের জমিও আছে।আমার আগে তোফাজ্জল খাল দখল করে বাড়ির রাস্তা ও গেইট নির্মাণ করছে।আমি কন্ট্রাকদারী করি নির্মাণ সামাগ্রী রাখার জন্য একটি পাকা ঘর তুলতেছি।
এ ব্যাপারে তোফাজ্জল হোসেন টেলির সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা হয়।পরে তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এ কে এম হাসানুর রহমান এ বিষয় বলেন, বিষয়টা খোঁজ খবর নিয়ে, পরবর্তী ব্যবস্হা নেয়া হবে।