
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সরকার ও প্রশাসনের দুর্বলতা ও সিদ্ধান্তহীনতায় ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগ এর দোসররা আস্ফালন করার সুযোগ পাচ্ছে । নির্বাচন ও বিচার প্রক্রিয়া যত বিলম্বিত হবে, গণহত্যাকারী গণশত্রু আওয়ামী লীগ ততই সুযোগ পাবে।
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৫) বিকেলে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
সোহাগীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশ বিপুল সংখ্যক জনগণের উপস্থিতিতে বিশাল গণসমাবেশে পরিনত হয় । দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া এই কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হলো।
তিনি বলেন, গণ অভূত্থানের শক্তির মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে অনৈক্য সৃষ্টি করা হচ্ছে । তিনি বলেন , আওয়ামি লীগ নিষিদ্ধ হবে কী হবে না , এই বিতর্কে পতিত ফ্যাসিস্ট সুযোগ নিচ্ছে।
আওয়ামি লীগ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। আওয়ামী রাজনীতির চ্যাপ্টার ক্লোজোড । গণহত্যাকারী , জনগণের ওপর নির্যাতন- নিপীড়নকারী ফ্যাসিস্ট চক্র রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে শাহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত এবং জনসাধারণ তাদের বরদাশত করবে না। সেজন্য রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ফ্যাসিস্ট চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে আওয়ামী প্রেতাত্মা রেখে আওয়ামী ভূত তাড়ানো যাবে না। তিনি বলেন , আওয়ামী ফ্যসিবাদের পতনের ৮ মাস পরেও প্রশাসনে তাদের দোসরদের হটানো গেলোনা কেনো, কারা তাদের টিকিয়ে রেখেছে তা খুজে বের করতে হবে৷
কর্মী সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহবান জানান। তিনি বলেন , নির্বাচন নিয়ে নানা টাল বাহানা , ষড়যন্ত্র চলছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে জনগণকে ভোটার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হবে । তিনি তারেক রহমান ঘোষিত জনকল্যাণে আগামী বিএনপি সরকারের কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন , রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈষম্যহীন ও সাম্য, মানবিক রাষ্ট্র গঠন এবং ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, বেকারভাতা, কর্মসংস্থান , বিনামূল্যে চিকিৎসা, কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা , ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানূষের সমান অধিকার প্রদান, উপজাতিদের কল্যাণে পৃথক অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করা হবে । তিনি সকলকে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের পাশাপাশি জন সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও ধানের শিষের প্রচারণা চালানোরও আহবান জানান ।
সমাবেশে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন, যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসিম , সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান, চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর, বিএনপি নেতা আবদুল খালেক, জুয়েল খান, সাহাবউদ্দিন সরকার, সাহাবউদ্দিন মেম্বার, ছাত্র গণ অভুত্থানের শাহীদ ময়েজ উদ্দিনের ভাই পরিবারের সদস্য মওলানা জালাল উদ্দিন, উপজেলা তাঁতী দলের আহবায়ক ওসমান গনি, ইউনিয়ণ ছাত্রদলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাসান রিয়াদ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসতাকিম, যুবদল নেতা আসলাম করিম আরিফ, সাইফুল ইসলাম মোহাম্মদ আলী , আবদুল মান্নান