
ঢাকা স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় সাংবাদিক মুন্নাকে অপহরণ এবং নগদ অর্থ সহ হুমকি ও দামকি সহ অপহরণ ও মুক্তিপণ করায় একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হেলাল ও ফাহিম এর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন যে, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় রাজধানীর মিরপুর পল্লবীর সেকশন-১১, ব্লক-এ, রোড-৮ নান্নু মার্কেটের সামনে নূর রেন্ট একারের ভিতর থেকে, মনির, আলম, জোবায়ের, হেলাল, ফাহিম,রিফাত,ফয়েজ ও ফাহাদ সহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০/২৫ জনের একদল ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক তুলে নেয় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এমনটা চিত্র সরজমিনে গেলে রুবেল ও করিম বলেন কিশোর ঘ্যাং সৃষ্টি করেছে।
মুন্নার অভিযোগ অনুযায়ী, অপহরণকারীরা তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, এবং নগদ ৩৫,০০০ টাকা, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের দুইটি ক্রেডিট কার্ড, এনআইডি কার্ড, প্রেসের আইডি কার্ড সহ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র এবং তার ব্যবহৃত পোকো ব্রন্ডের একটি মোবাইল সেট যাহার মূল্য অনুমান ৪০,০০০/টাকা তার গলায় ৮ আনার একটি স্বর্ণের চেইন, যাহার মূল্য অনুমান ৬০.০০০/-টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তার বিকাশে থাকা ১১.০০০/- টাকা তাদের বিকাশে সেন্ড করে নেওয়ার পর তারা তাকে মারধর করে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে তার আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে তার বিকাশে আরও ৪৫,০০০/- টাকা আনাইয়া তাদের বিকাশে সেন্ড করে নেই ও আরও টাকা দেওয়ার শর্তে অপহরণকারীরা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন যে, বিষয়টি প্রকাশ করলে তার জীবনের জন্য ঝুঁকি হতে পারে।
পরে, দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর অপহরণকারীরা মুন্নাকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা শহীদ সরোয়ারদী কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মুন্নার সহকর্মীরা জানান, সম্প্রতি তিনি কিছু অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। তারা ধারণা করছেন, তার এই প্রতিবেদনই অপহরণের পেছনের মূল কারণ হতে পারে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, “অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের তদন্ত চলতেছে আমরা সুষ্ঠ তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুশীল সমাজে আরো অনেকেই। শুধু তাই নয় ইউনিভার্সিটি এক প্রফেসর বলেন অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। তারা বলেন, এ ধরনের হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হুমকি। আমরা ন্যায়বিচার চাই।
বর্তমানে সাংবাদিক মুন্না শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।