
সুমন খান :
দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকায় সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিরিন সুলতানার ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনিছ মাহমুদ লিমন জানান, সংবাদ প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই কল্লোল আলী বাবু মামা নামে এক ব্যক্তি (মোবাইল নং–০১৬২২-৭৯০৭৬৯) তার ফোনে যোগাযোগ করে দেখা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সাংবাদিক লিমন তখন জিজ্ঞাসা করেন— “কোন কারণে আপনার সঙ্গে আমার দেখা করা দরকার?”। উত্তরে কল্লোল আলী বাবু অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে এবং হুমকি দিয়ে বলে—
“তুই কেন আমার ভাবির নামে নিউজ করেছিস? আমার ভাবি সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিরিন সুলতানা। এখনই নিউজ ডিলিট করবি, না হলে তোকে ধরে নিয়ে হাত-পা ভেঙে মেরে ফেলবো। তুই যেখানেই থাকিস, ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড আমার ছোট ভাই বেরাদার। একটা ফোন দিলেই তোকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসবে।
শুধু তাই নয়, হুমকিদাতা কল্লোল আলী বাবু সাংবাদিক আনিছ মাহমুদ লিমনের ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে তার সামাজিক মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুণ্ন করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আনিছ মাহমুদ লিমন বলেন— “শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করাই আমার অপরাধ। দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলেই যদি সাংবাদিকদের এভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
এরই মধ্যে হুমকিদাতা কল্লোল আলী বাবুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। সাংবাদিক মহল এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক সমাজে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হুমকি মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য গুরুতর হুমকি স্বরূপ।