
ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধি :
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা কোরবানি ঈদ-ঈদের আগে আলোচনায় উঠে আসে বাহারি নামের গরু এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ধামইরহাটের ধলা বাদশা নামের একটি বিশাল আকৃতির ষাঁড়।
ইদুল আজহা উপলক্ষে এই যাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের চকইলাম গ্রামের মো. আতোয়ার রহমান। তার নিজ বাড়িতেই বিলাশ আকৃতির গরু লালন পালন করেছেন। গরুর ওজন নির্ধারণ করলেও দাম এখনো নির্ধারণ করেনি প্রান্তিক খামারি- আলোচনা সাপেক্ষ বিলাশ আকৃতির এই গরুটির দাম দর মেটাবেন।
জার্সি জাতের সাদা রঙের এই দৈত্যাকার যাঁড় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ধলা বাদশা- ধলা বাদশার ওজন প্রায় (১৮মণ)। এরই মধ্যে অনেকেই গরুটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। গরুর মালিকের বাড়িতে দূর-দূরান্ত থেকে ধলা বাদশাকে কিনতে আসছেন ক্রেতারা করছেন দাম-দরও।
গরুর মালিক আতোয়ার রহমান বলেন, ‘প্রায় প্রতি বছরই কোরবানির ঈদে বড়সড়ো আকারের যাঁড় গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করি, মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ না করে ঘাস লতাপাতা, চালের খুদ গুড়া ভুসি খাইয়ে প্রাকৃতিক ভাবে বড় করেছি। এই ষাঁড়টি সাদা রঙের হওয়ায় নাম রেখেছি ধলা বাদশা। অনেকে ভালোবেসে সাদা বাঘ, ধলা বাঘ নাম ডাকেন।
ভালো দাম পেলে বাড়ি থেকেই এই বিশাল আকৃতির গরু ধলা বাদশাকে বিক্রি করবেন এমনটাই আশা করছেন খামারি আতোয়ার রহমান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে উপজেলায় ছোট বড় মোট ৩ হাজার ৩২৮ খামারিদের থেকে প্রায় ৭০ হাজার ৭শত ৩৩টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। মোট চাহিদা এবারে ৪০ হাজার ১৮টি পশু। ফলে উপজেলার চাহিদা মেটানোর পরেও ৩০ হাজার ৭১৫টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব খামারে ষাঁড় গরু রয়েছে ৭ হাজার ৮৭৭টি, বলদ গরু রয়েছে ১হাজার ৭৭১টি, গাভি গরু রয়েছে ৯হাজার ৯৮৯টি, মহিষ রয়েছে ৭১৩টি, ছাগল রয়েছে ৪৩ হাজার ৪৯৪টি এবং ভেড়া রয়েছে ৬ হাজার ৮৮৭টি। উপজেলায় খামারিদের পাশাপাশি প্রায় সকল পরিবারে ব্যক্তি উদ্যোগে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করেছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াজেদ আলী জানান, উপজেলায় এবারে কোরববানিতে গবাদি পশুর কোন ঘাটতি নেই। কোরবানি পশু সুস্থ ও গরু চেনার পাশাপাশি হালাল জবাইয়ের প্রক্রিয়াসহ সঠিকভাবে পশুর চামড়া ছড়ানোর নিয়ম এবং স্বাস্থ্যসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপরে প্রাণিসম্পদের পক্ষে থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি পশুর হাটবাজারে আমাদের প্রাণিসম্পদ টিম সাধ্য মতো মনিটরিং ভুমিকা পালন করবে পাশাপাশি স্থায়ী এবং অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটগুলোতে মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবেন।