
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ : বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বিকাশমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভেতর দিয়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক অব্যাহকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক দৃশ্যপট যেভাবেই বিকশিত হোক না কেনো, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক সব সময় স্থিতিশীল ও শক্তিশালী গতি বজায় রেখেছে।
রোববার সন্ধ্যায় নগরীর এক হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত ‘দ্য ২০২৪ রিইউনিয়ন ফর বাংলাদেশি পার্সনস ইন চায়না’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন। রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এ বছরটি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এক ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।’
তিনি দুই দেশের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্কের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্তবর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে সাম্প্রতিক আলাপ-আলোচনায় আমি চীনের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অকৃত্রিম বন্ধুত্ব গভীরভাবে অনুভব করেছি।
তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের জনগণ চীনকে বৃহত্তর সমর্থন প্রদানের জন্য আগ্রহী এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তারা তাদের প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন। ‘যদি আমরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে একটি বিশাল জাহাজের সাথে তুলনা করি, তবে এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছে এবং অব্যাহতভাবে তার নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে স্থিরভাবে অগ্রসর হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন ইয়াও।
রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালে চীন সফরকারী বাংলাদেশি ব্যক্তিদের প্রশংসা করেন এবং পরের বছর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। জাতি, বিশ্বাস ও ভাষার স্বাতন্ত্র্য সত্ত্বেও আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও পারস্পরিক লাভজনক সহযোগিতা বজায় রেখেছি।