
মুন্সীগঞ্জে ৭ দিনে ১৮ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৩৪ লক্ষাধিক টাকা অর্থদন্ড
মোঃ সুমন হোসেন,ক্রাইম রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জে পরিবেশ আইন অমান্য করায় গত দুই মাসে ৭ দিনে ১৮ প্রতিষ্ঠানকে ৩৪ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান ও শহিদুল ইসলাম।গেল রবিবার(০৯ ফেব্রুয়ারী)বিকেল ৬ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার গজারিয়া উপজেলার ভিটি কান্দী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় জে.এম.আই ইন্ডাস্ট্রি পার্ককে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।এসময় ৩ মাসের মধ্যে পরিবেশের সমস্ত বিধি-বিধান প্রতিপালন করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। কোম্পানির পক্ষে সংশ্লিষ্ট এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরকে এই দণ্ড আরোপ করা হয়।এর আগে একই দিনে গজারিয়া উপজেলার আনারপুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান।এসময় ৩ মাসের মধ্যে পরিবেশের সমস্ত বিধি-বিধান প্রতিপালন করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। কোম্পানির পক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রজেক্ট হেডকে এই দণ্ড আরোপ করা হয়।এর আগে রবিবার(০২ ফেব্রুয়ারী)বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও ইটিপি বন্ধ করে তরল বর্জ্য নদীতে নির্গমন করায় বর্ণালি ফেব্রিক্স লিমিটেডকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড,এবং পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় ও ইটিপি অকেজো রেখে তরল বর্জ্য নদীতে নির্গমন করায় এশিয়া পেপার এন্ড বোর্ড মিল লিমিটেডকে ৩ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান।এসময় ১ মাসের মধ্যে সমস্ত বিধি-বিধান প্রতিপালনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। কোম্পানির পক্ষে সংশ্লিষ্ট ম্যানেজারকে এই দণ্ড আরোপ করা হয়।বর্ণালি ফেব্রিক্স লিমিটেড অর্থদন্ডের টাকা পরিশোধ করেন কিন্তু এশিয়া পেপার এন্ড বোর্ড মিল লিমিটেড অর্থদন্ডের টাকা পরিশোধ না করায় ম্যানেজারকে সাজা পরোয়ানামূলে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।একই দিনে বিকেল ৪ টা থেকে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ সময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও খোলা অবস্থায় কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ৩ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড,এবং খোলা অবস্থায় কাচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ফ্যাক্টরিটিকে বায়ুদূষণ(নিয়ন্ত্রণ)বিধিমালায় ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।এসময় ৩ মাসের মধ্যে বায়ু দূষণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।কোম্পানির পক্ষে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারকে এই দণ্ড আরোপ করা হয়।এর আগে একই দিনে বিকেল ৪ টা থেকে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ সময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও খোলা অবস্থায় কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ৩ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড,এবং খোলা অবস্থায় কাচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ফ্যাক্টরিটিকে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।এসময় ৩ মাসের মধ্যে বায়ু দূষণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।কোম্পানির পক্ষে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারকে এই দণ্ড আরোপ করা হয়।এর আগে রবিবার(১৯ জানুয়ারী)বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় স্ক্যান সিমেন্ট ও মেট্রোসেম সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় মেট্রোসেম সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড,এবং খোলা অবস্থায় কাচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় স্ক্যান সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে বায়ুদূষণ(নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান।এছাড়া ৩ মাসের মধ্যে বায়ু দূষণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।কোম্পানির পক্ষে সংশ্লিষ্ট জেনারেল ম্যানেজারকে এই দণ্ড আরোপ করা হয়।এর আগে রবিবার (১২ জানুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত সদর উপজেলার শহরে ২ ও ৩ নং সুপার মার্কেট এলাকায় মুন্সীগঞ্জ মেডিকেল হল এবং রোকেয়া ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। মুন্সীগঞ্জে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন,২০২৩ লংঘন করায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে ১৫( পনের) হাজার টাকা অর্থ দন্ড আরোপ করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।এছাড়াও অবৈধ ড্রাগস ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়।এর আগে একই তারিখে রাত ৮ টার দিকে শহরের ২নং সুপার মার্কেট এলাকায় এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করায় মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে নিবন্ধন ব্যতিত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করায় ৫ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড আরোপ এবং এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা করায় ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড আরোপ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।