
চীনের শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের তৈরি এমপক্স টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। এ তথ্য বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। চীনা সংবাদমধ্যম সিএমজি এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে চীনা ডেইলি।
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সিনোফার্ম জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটি যৌথভাবে বেইজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট এবং সেইসাথে চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের অধীনে ভাইরাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের জাতীয় ইনস্টিটিউট সম্পৃক্ত রয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, চীনে বর্তমানে কোনো অনুমোদিত এমপক্স ভ্যাকসিন নেই। সিনোফার্মের ভ্যাকসিন প্রাক-ক্লিনিকাল গবেষণার সময় নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এবং এটি অমানবিক প্রাইমেটসহ বিভিন্ন প্রাণীর মডেলের এমপক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সুরক্ষাকে উদ্দীপিত করতে পারে।
এ সম্পর্কে সিনোফার্ম বলেছে, এই ভ্যাকসিনটি স্বাধীনভাবে চীনা বিজ্ঞানীদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং এর সম্পূর্ণ মালিকানা বুদ্ধিবৃত্তিক অধিকার রয়েছে। চীনে এমপক্স নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ভ্যাকসিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনে একটি ভ্যাকসিন সাধারণত বাজারের অনুমোদন পাওয়ার আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তিনটি ধাপের মধ্য দিয়ে যায়। প্রক্রিয়াটি কয়েক বছর এমনকি কয়েক দশক সময় নিতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে এমপক্স ছড়িয়ে পড়েছে। গত আগস্ট মাসে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জেরে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এমপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ ফ্লুর মতো। রোগের একপর্যায়ে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
চীনে প্রথম এমপক্স সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের জুনে। পরে এটি কোভিড-১৯ ও এইচআইভি/এইডসের মতো শ্রেণিবদ্ধ করে ক্লাস বি সংক্রামক রোগ হিসেবে একে তালিকাভুক্ত করা হয়। সেপ্টেম্বরে ৪৬টি এবং অক্টোবরে ৩৮টি সংক্রমণ চীনে রিপোর্ট করা হয়েছে।