
মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম :
জন সাধারণ ও গাড়ি চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। কিছু বললেই ওদের ভয়ংকর আচরণের শিকার হতে হচ্ছে এই রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ পথচারী জনগণকে। পুলিশ প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। নাকি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এই অরাজকতা, প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
দীর্ঘদিনের এ দুরবস্থার কারণে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী, শিশু-বৃদ্ধসহ হাজার হাজার পথচারী পড়ছে সীমাহীন দুর্ভোগে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, এ রাস্তার দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থা। ভোট শেষে আর জনপ্রতিনিধিদের এ রাস্তা চোখে পড়ে না। বর্তমান সরকার থেকে কিছুই করছে না। এ রাস্তার দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মিরপুর কালশী এর বেগুনটিলা টু বালুঘাট ভায়া মাস্টারটেক সড়কটির করুণ দশা। বছরের পর বছর ধরে সড়কটির বেশির ভাগ স্থানে তৈরি হয়েছে ব্যবসাকেন্দ্র। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। মিরপুর কালশী এর বেগুনটিলা টু বালুঘাট ভায়া মাস্টারটেক এলাকাবাসীর কাছে রাস্তাটি চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কের নাম।
শুধু বেগুনটিলা অংশে রাস্তা কয়েকদিন আগেই সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু বিহারী জনগোষ্ঠীর বেগুনঠিলা অংশে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, প্রায় পুরো রাস্তা জুড়ে প্যান্ডেল ও স্টেজ করে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অনুষ্ঠান, ছিনতাই এর মত ঘটনায় এই রাস্তাটি রাতে তো বটেই দিনেও একটি আতঙ্কের নাম।
অন্যদিকে দিনের অবর্ণনীয় নরকযন্ত্রণা কয়েক গুণ বেড়ে যায় রাত নামলে। এই পথে সারা বছর ধরেই এই নরকযন্ত্রণা পোহাতে হয়। রাজধানীর বুকে এমন বেহাল রাস্তা ভাবা যায়! কর্তৃপক্ষের উচিত রাস্তাটি জন সাধারণের জন্য চলাচলের উপযোগি করা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর কালশী এর বেগুনটিলা টু বালুঘাট ভায়া মাস্টারটেকের রাস্তাটি জন সাধারণের জন্য চলাচলের উপযোগি করা স্থানীয়দের প্রাণের দাবি। মিরপুর কালশী এর বেগুনটিলা টু বালুঘাট ভায়া মাস্টারটেকসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ পথ দিয়ে চলাচল করে। এ সমস্যা সমাধান করা হলে হাজার হাজার মানুষ নিরাপদে, নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। অনেক দিন ধরেই রাস্তার এই হাল।