
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সদ্য পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্তদের অপসারণের দাবী:ছাত্র জনতার।
ক্রাইম রিপোর্টারঃ
সারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন”বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” সদ্য পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগের সার্টিফিকেটধারী ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সদ্য পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্তদের দ্রুত অপসারণের দাবী জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতা।এরই ধারাবাহিকতায় সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখনো তৎপর,তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিমুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ তারা অজ্ঞাত স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের মানুষ দ্বারা সন্ত্রাসী চুরি ডাকাতি চাঁদাবাজি ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ শিমুলিয়া ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড প্রতিটা নেতারা আড়ালে থাকলেও তাদের এলাকায় রয়েছেন,ছায়া নেতাকর্মীরা।কয়েকজন নেতা রয়েছে,আশপাশ ও ঢাকায় প্রাইভেট কোম্পানিতে কোনরকম ঘা ঢাকা দেওয়ার জন্য নামে মাত্র চাকুরী করছেন। এদের মধ্যে ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান,(১৯) পিতা জালাল উদ্দিন,গ্রাম দাসপাড়া থানা আশুলিয়া উপজেলা সাভার জেলা ঢাকা। হাবিবুর রহমান ১৯/২০২৪ সালে ট্রেনিং’য়ে যোগদান করে সদ্য জানুয়ারি ২২/১/২০২৫ তারিখ এসএমপি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এ যোগদান করে। হাবিবুর রহমান হাবিবের বিপি নাম্বার-০৫২৫২৫৭০৬১ সে বর্তমানে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছে।এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে সাংবাদিকদের জানান,এই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ আমাদের এলাকাতে আমাদের উপর কতই না নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছেন,দাস পাড়ার জলিলের ছেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এই হাবিবুর,সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সন্ত্রাসী আতিক,টেপা জাকির ওরফে মামা জাকির,বিভিন্ন ছাত্রলীগ,ও রাজিব বাহিনীর ক্যাডারদের নিয়ে মাঝেমধ্যে অবৈধ অস্ত্র ও মোটরসাইকেলের বিশাল সোডাউনের মাধ্যমে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি ও মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজি,জমি দখল,কন্টাকে জমি দখলে সক্রিয় ভূমিকা রাখতো ও টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে সব সময় লিপ্ত থাকতো অবৈধ অস্ত্রধারী এই হাবিব।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম দোসর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে গুলি চালানো সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম রাজিব বাহিনীর ক্যাডাররা ইতিমধ্যে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী টেপা জাকির ওরফে মামা জাকির সহ অনেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।আর অনেকেই ঘা ঢাকা দিয়ে এলাকাতেই বিভিন্ন অপকর্ম,সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।আবার অনেকে ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় রয়েছে পলাতক।হাবিব সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম ও মনজুরুল আলম রাজীবের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ছাত্রলীগের পথ পদবি বাগিয়ে নেয়,তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে জেলা পর্যায়ের নেতাদের অনেকেরই আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন।নেতাদের আস্তাভাজন হওয়ার কারণে চাঁদাবাজী অবৈধ অস্ত্রধারী দখলদার এবং এলাকার বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন হাবিব।শিমুলিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ও সচেতন মহল একাধিক ব্যক্তি’র ভাষ্যমতে এই হাবিব ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও পুরা কমিটিকে পরিচালনা ও নেতৃত্ব দিতেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো মিটিং মিছিলে লোক সমাগম করার ব্যাপারে সক্রিয় ছিল।
শিমুলিয়া গোহাইল বাড়ি এলাকার এন,বি,এম ইটভাটার মালিক রাজু আহাম্মেদ বলেন, তৎকালীন সময় আওয়ামী লীগের যেকোনো মিছিল মিটিংয়ে আমাদের ইটাভাটা থেকে জোর করে ট্রাকে করে শ্রমিক নিয়ে যেত,তাদের মিছিল মিটিংয়ে। তাছাড়া আমাদের শিমুলিয়া ইউনিয়নে যে কয়টি ইটভাটা রয়েছে,প্রতিটা ইটভাটা থেকে প্রতি বছর ভাটা চালু করলেই ছাত্রলীগ নেতা হাবিবকে দিতে হতো চাঁদা ‘এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত’।এছাড়া প্রতিবছর শিমুলিয়া,আশুলিয়া, সাভার থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রোগ্রামে অনুষ্ঠানে মোটা অংকের টাকা হাবিব এবং তার কমিটিতে থাকা সাঙ্গোপাঙ্গদের দিতে হত,তাদের চাহিদা মত চাঁদা না দিলে ওই ব্যবসায়ীদের উপর নেমে আসতো বিভিন্নভাবে হয়রানি মূলক কর্মকান্ড।এই চাঁদাবাজির টাকা হাবিবের হাত ধরে সিংহভাগ রাজিব,সমর ও টেপা জাকিরের তহবিলে চলে যেত।তাছাড়া এই হাবিব ও তার হাঙ্গপাঙ্গরা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের কথা বলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করত।এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে হাবিব। স্থানীয় ছাত্র লীগের নেতা হিসেবে রাজনীতিতে একক ভাবে আধিপত্য থাকায় হাবিবের দাপটে তটস্থ থাকতেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ।কেউ যদি চাঁদা না দিতে চাইলে হাবিবের নিজস্ব বাহিনী দ্বারা প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারধর করতেন। তৎকালীন সময়ে হাবিব বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতো না।এখন এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করেছে,কেউ কেউ বলছে হাবিব বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করবে।এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিমত ব্যক্ত করে বলেন,শিমুলিয়া ২ নং ওয়ার্ড দাসপাড়া এলাকার জালালের ছেলে হাবিব একজন সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্রধারী চাঁদাবাজি এবং শিমুলিয়া ইউনিয়নসহ আশুলিয়া সাভারে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকা সত্ত্বেও অবৈধ টাকার জোরে সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাজীব বাহিনীর ঘনিষ্ঠজন এবং তাদের ক্যাডার বাহিনী,আওয়ামী লীগ,নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সার্টিফিকেট,ও সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম,সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান ও সাভার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবসহ ঢাকা জেলার নেতাদের সুপারিশ এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে পুলিশ বাহিনীতে সদ্য যোগদান করেন এই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ক্যাডার হাবিবুর রহমান(হাবিব)।এই সন্ত্রাসী হাবিবকে তার সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত চাকরি থেকে অতি দ্রুত অপসারণের দাবি জানান, সাধারণ ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী।এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, সরকার জনগণের কাছে পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং পুলিশ সংস্কারের জন্য কাজ করছে।বিশ্লেষকরা মনে করেন,বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দলীয়ভাবে ছাত্রলীগ যুবলীগ সংগঠনের সার্টিফিকেটধারী নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী পুলিশ বাহিনী গঠন করে গেছে,সরকার যতই বলুক জনগণের কাছে পুলিশের আস্থা ফিরিয়ে আনতে,তাতে হয়তো বেশি একটা লাভবান হতে পারবে না বলে আমরা মনে করি।বিগত দিনগুলোতে যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সার্টিফিকেটে ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কোটায় নিয়োগ পেয়েছে,তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চাকরি থেকে অপসারণ করতে হবে।