
নির্ভুলভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হয়রানি ছাড়াই সাধারণ নাগরিকদের সেবা দেওয়ার বিষয়ে নজর দিতে নির্দেশ দিয়ে ইসি বলেছে, এর ব্যত্যয় পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার দেশের ১০ অঞ্চল ও ৬৪ জেলার নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেয় ইসি। মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রথম এই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার কমিশনার, ইসির সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি ছিল মূলত পরিচিতি সভা।
নির্বাচন কমিশন ইসির সূত্র জানায়, বৈঠকে একাধিক নির্বাচন কমিশনার জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন এবং ওই নির্বাচনের জন্য নির্ভুল ভোটার তালিকার ওপর জোর দেন। সিইসি বলেন, তাঁরা আগামী নির্বাচন এমনভাবে করতে চান, যাতে ইসি হারানো ইমেজ ফিরে পায়। ইসির ওপর মানুষের আস্থা বাড়ে। তিনি জেলা ও উপজেলা কার্যালয়গুলোতে এক দিন ‘ওপেন ডে’ রাখার নির্দেশ দেন। সেদিন সবার অভিযোগ ও মতামত শুনে কর্মকর্তাদের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলেন। এ ছাড়া প্রতিটি অফিসে অভিযোগ বক্স স্থাপনের নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় নাগরিকের তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা হলে ভুলত্রুটি অনেক কমে যাবে। তিনি মৃত ব্যক্তিদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ও রোহিঙ্গারা যাতে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে, সে জন্য কর্মকর্তাদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে কারও গাফিলতি ও অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈঠকে কয়েকজন কর্মকর্তা তাঁদের বক্তব্যে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।