
দ্য হেগে শনিবার একটি তিনতলা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের আংশিক ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর এ ধস হয় বলে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা জানিয়েছেন। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ পর্যন্ত চারজনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অভিজাত দল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা অন্যদের উদ্ধারে কাজ চালাচ্ছে। তবে কতজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বা বিস্ফোরণের কারণ কী, তা এখনো জানা যায়নি। একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না ধ্বংসস্তূপের নিচে কতজন মানুষ থাকতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পেতে প্রত্যক্ষদর্শীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ছয়টায় বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এএফপির একজন প্রতিবেদক জানান, সেখানে ডজনখানেক ফায়ার ট্রাক হাজির হয়েছে।
অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা নিচ থেকে এবং উঁচু অবস্থান থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থলের ওপর দিয়ে পুলিশের হেলিকপ্টার উড়ছে। রাস্তাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি জানালা উড়ে গেছে। ভবনটি যেখানে ছিল, সেখানে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে এবং বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ফরেনসিক তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছেন।
১৪ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা আদাম মুলার বলে, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম এবং হঠাৎ এই বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। জানালা দিয়ে তাকিয়ে আগুন দেখতে পাই। এটা একদমই ভয়ঙ্কর।’ অন্যদিকে ডিমি নামের ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ‘এটা ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়েছিল। কিছু একটা ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে তা বুঝতে পারিনি। আমার সন্তানদের স্কুলে যাওয়া প্রতিবেশীরাও এখানে থাকে। আমার নতুন গাড়িটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ডাচ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার ও রানী ম্যাক্সিমা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যারা ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা যারা তাদের প্রিয়জনের শেষ পরিণতির কথা ভেবে কষ্ট পাচ্ছেন সবার জন্য আমরা সহানুভূতি প্রকাশ করছি।