
নাফ নদের ওপারে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিমান হামলা ও ভারি গোলা বিস্ফোরণে কাঁপছে এপারের কক্সবাজারের সীমান্ত জনপদ টেকনাফ। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সীমান্তের বাসিন্দারা। গতকাল শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর থেকে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে শোনা গেছে সীমান্তের ওপারে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত টানা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় টেকনাফে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান যুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বিগত ১০ মাসে রাখাইনের অধিকাংশ সেনা ক্যাম্প ও বিজিপির সীমান্ত চৌকি দখল করে নিয়েছে। এখন এসব দখলের পর আরাকান আর্মি রাখাইনের মংডু শহর পুরোপুরি দখল নিতে হামলা চালাচ্ছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীও শহরটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাল্টা বিমান হামলা ও ভারী গোলাবর্ষণ করছে। গত শুক্রবার মধ্যরাতেও যুদ্ধ বিমানের শব্দ শোনা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। ওই যুদ্ধের বিকট শব্দে টেকনাফ সীমান্তে ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। রাখাইন যুদ্ধের এই শব্দে আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে।
মায়ানমার যুদ্ধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনো অনুপ্রবেশকারী যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির পাশাপাশি টহলও জোরদার রাখা হয়েছে।’
সীমান্তের বাসিন্দাদের তথ্য মতে, রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী এখন আকাশ পথে হামলা করছে। আরাকান আর্মিও মংডু শহর পুরোপুরি দখল করতে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।