
ISKCON on Bangladesh এই নামে খবর ছাপে এই পত্রিকাটি
‘দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের মতোই কেউ বাংলাদেশি হিন্দুদের সাহায্য় করছে না, তাই কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে’, এমনই মন্তব্য করলেন ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র রাধারমণ দাস। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার নিয়ে প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি বলেন।
বাংলাদেশি হিন্দুদের অবস্থা দ্রৌপদীর মতো হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন রাধারমণ দাস। ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র দাবি করেছেন, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় কেউ সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেননি। তাই তিনি ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। তাঁকে রক্ষা করেছিলেন ভগবান কৃষ্ণ। আর হিন্দুদের উপরে যখন বাংলাদেশে ভয়ংকর অত্যাচার চলছে, তখনও বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও কেউ সহায়তা করছেন না। তাই দৌপ্রদীর মতো তাঁরাও শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করছেন বলে দাবি করেছেন ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র।
‘দ্রৌপদীকে কেউ সাহায্য করেননি’
হিন্দু সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারি এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার কলকাতার ইসকনে যে শান্তিপ্রার্থনার আয়োজন করা হয়, সেখান থেকেই তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তাতে সবাই কষ্ট পাচ্ছেন। মহাভারতে দ্রৌপদীকে নিয়ে একটা কাহিনী আছে। যখন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করা হচ্ছিল, তখন উনি স্বামীর দিকে তাকিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে আমায় সাহায্য করো ভীম। আমায় সাহায্য করো অর্জুন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের মাথা নীচু করে নেন। বাকিদের থেকেও সাহায্যের আর্তি করেছিলেন। কিন্তু কেউ তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি।’
‘দ্রৌপদীর মতোই কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা’
ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র আরও বলেন, ‘অবশেষে তিনি হাত তুলে ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা শুরু করেছিলেন। তিনি দ্রৌপদীর সম্ভ্রম রক্ষা করেছিলেন। আজ আমাদের অবস্থাও সেরকম আমরা দেখছি যে গত ১০০ দিন ধরে বাংলাদেশের হিন্দুরা দৌপ্রদীর মতো রাষ্ট্রসংঘের কাছে আকুতি করছেন, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কাছে আকুতি করছেন। কিন্তু কেউ সাহায্য করছে না। তাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি আমরা।’
ইসকন এর কার্যকলাপ।