আতিকুর রহমান শিপন
আঞ্চলিক প্রতিনিধি ময়মনসিংহ।

গতকাল বুধবার বেলা ১১ঘটিকায় এ ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (নাইব) এর কার্যলয়ে ।

গতকাল অফিস সময় সকাল ১০টায় তার অফিস সহকারী ও সেবাগ্রহীতাগন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার অপেক্ষা করতে থাকেন। ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বদরুল বেলা ১১ঘটিকায় অফিসে এসে তার অফিস সহকারী আব্দুল মতিন ও সেবাগ্রহীতাদের কে তালাবদ্ধ করে বাহিরে চলে যান। চলে যাওয়ার দীর্ঘ ৩ঘন্টা তালাবদ্ধ থাকার পর, স্থানীয়রা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে খবর দিলে তিনি অফিসে এসে তালা ভেঙে তাদের বের করেন।

। পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন ওই ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেন।

তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকা কালাম সরকার নামের একজন বলেন, ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সকালে আসার পর কযেকজন সেবা গ্রহীতা ও তাদের অফিস সহায়কে ভিতরে আটকে রেখে বাহিরে তালা দিয়ে চলে যান। পরে ভিতরে আটকে থাকা তাদের চিল্লাপাল্লায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ফোন দিলে তিনি এসে তালা ভাঙেন। একজন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার এমন আচরণ আসলে খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল মতিন বলেন, সকাল ১১ টার দিকে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা স্যার অফিসে আসেন। আসার পর অফিস সহায়ক শাহনাজ পারভিন অফিসে আসছে কি না জানতে চান। পরে আমি বললাম আসে নাই। একথা শুনে আমাদের সবাইকে ভিতরে রেখে তালা দিয়ে তিনি বলেন আমি না আসা পর্যন্ত তোরা কেউ বের হতে পারবে না।

এদিকে, এরআগে অত্র এলাকার সেবা গ্রহীতাদের সাথে একাধিক বার অসদাচরণ(হুমকি)দেওয়ার অভিযোগে চর-আলগীর বাসিন্দা আতিকুর রহমান বাদী হয়ে, গতকাল সন্ধায় ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ দায়ের করা প্রসঙ্গে, ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বদরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন বলেন, ওই ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তার মাথায় একটু সমস্যা। হতে পারে এমন সমস্যা থেকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি আমি ফোনে জানানোর পর সাথে সাথে তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি। তারপর ওই অফিসের তালা ভেঙে তাদের বের করি। এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।