সুমন খান (সিনিয়র রিপোর্টার) :
ব্রিটিশ সরকারের নিকট থেকে নবাব উপাধি পেয়ে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাজা পরিবার ‘ঢাকার নবাব পরিবার’ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে। উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে পরবর্তী প্রায় এক শত বছর ধরে তাঁরা ছিলেন পূর্ব বাংলার সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিবার। ঢাকার নবাব পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে কাশ্মীর থেকে বাংলায় আসেন। সেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খিষ্ট রবিবার ,,ঢাকার মগবাজার ইস্কাটন রোড , এ ওয়াকফ ভবন এ অনুষ্ঠিত হয় নবাব সলিমুল্লাহর এর বংশধর অষ্টম নবাব খাজা ডক্টর ইকবাল আহসান উল্লার সংবাদ সম্মেলন করেন , এক আলোচনা মধ্যে দিয়ে । যেখানে মূল বিষয়বস্তু ছিল জনাব আইনুদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা এস্টেট এর বিস্তারিত ঘটনাগুলো । সেই গুলো মূলত আট অঞ্চলে বিরক্ত। যেখানে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে নবাবদের সম্পত্তি এবং ঢাকা বাহিরে বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা এবং উক্ত! সম্পত্তির মতোয়াল্লি বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেন । এখানে উপস্থিত ছিলেন সলিমুল্লাহর বংশধর অষ্টম নবাব খাজা ইকবাল আহসান উল্লাহ। এখানে আহসান উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট এর প্রশাসক ডক্টর গোলাম মোস্তফা কবির কে বলেন, তার ৩০০০ বংশধর এখনো জীবিত থাকায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন ! আসলে তাদের বিষয় কেউ দেখতেছে না । তাদের সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তারা এগুলো ভোগ দখল করতে পারছেন না, কিছুচক্র মহল তারা সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় ,অথচ শুধু তাই নয় আমাদের ৩০০ থেকে ৪০০ পরিবার এখন অসহায় হয়ে আছেন আসলে মূল ঘটনা কি কেন হচ্ছে এগুলো। এখানে প্রশাসক থেকে যারা নবাব এর বংশধর না তারা দায়িত্ব পালন করে সম্পত্তিগুলো কুক্ষিগত করে রেখেছেন। এক্ষেত্রে ৪১১/সি আইনুদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা এস্টেট টি জামাল আনসারী নামক ব্যক্তি বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে । প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে অর্থ আত্মসাত করে আসছেন একের পর এক আসলে তাদের খুঁটির জোর কোথায় তাদের পিছনে কি ইশারায় দিয়ে একপর্যায়ে খেলার মেতে উঠেছিল। সেই বিষয়টি আমরা জানতে এবং দেখতে চাই শুধু তাই নয় জামাল আনসারী একের পর এক অপকর্ম করেই বেড়াচ্ছেন বাড়ি দখল, জায়গা জমি সম্পত্তি লুটে ,খেয়ে আছে বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করছেন। ওয়াকফ ভবন এর কতিপয় অসাধু কিছু ব্যক্তির সাথে জোগ সাজেস করে কোটি কোটি টাকা মানুষের আত্মসাৎ করেছে। এখানে অষ্টম নবাব খাজা ইকবাল আহসানুল্লাহ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন খাজা ইকবাল আহসানুল্লাহকে মতোয়াল্লী হিসাবে রায় প্রদান করেন। সেক্ষেত্রে অসাধু ও কুচক্রী মহল তাকে বাধা প্রদান করেন । উল্লেখ্য যে খাজা ডক্টর ইকবাল আহসানুল্লাহ ২০২১ সালে মতুয়াল্লি হিসাবে ওয়াকফ কর্তৃপক্ষ থেকে নিযুক্ত হন। এরপরও ওয়াকফ প্রশাসন এর কিছু অসাধু ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে জামাল আনসারী নামক ব্যক্তিকে মতোয়াল্লি হিসাবে চিঠি প্রদান করে যাহা অবৈধ এবং আইন বিরোধী শুধু তাই নয় আইনের উপরে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে একের পর এক অপকর্মী লিপ্ত থাকেন। এক অনুসন্ধানে তথ্য নিয়ে জানা যায়! জামাল আনুসারী কোন প্রকার কোন কার্যক্রম চালাতে পারেন না। এই দুর্নীতি অনিয়ম একের পর এক বেড়েই গেছে , শুধু তাই নয় কোথায় আছে না জোর যার মুল্লুক তার সেই প্রভাবগুলো একপর্যায়ে ব্যবহার করে একের পর এক জমি দখল এবং লুটপাট সহ অন্যায়ের কোন অন্তসীমা নেই । ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াকফ প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তির বিচার দাবি করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রকৃত মতোয়াল্লি ডঃ খাজা ইকবাল আহসান উল্লাহ কে নিযুক্ত করার জন্য দুইদিন সময় নেন। ওয়াকফ প্রশাসক ডক্টর মোহাম্মদ গোলাম কবির এক পর্যায়ে সে বলেন আমাকে সাত দিন সময় দিতে হবে, ওখানে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন একপর্যায়ে বলে আমরা আপনাদেরকে সাত দিন সময় দিব না ।সময় নিতে হবে দুইদিন যদি সাত দিন সময় নেন তাহলে একদিনে কয়েকশো বিঘার জমির দখল হয়ে যাবে , যেটা আমরা ক্ষতিগ্রস্তরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হব যার কোন ক্ষতির কোন অন্ত সীমা থাকিবে না। এক পর্যায় ওয়াকফ ভবনে ! ছাত্র সমন্বয়কদের নেতৃত্ব মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ তিনি বলেন, দেশে কোন দুর্নীতিবাজ যেন না থাকে সে ব্যাপারে ছাত্র সমাজ কাজ করে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে যদি কোন দায়িত্বের প্রয়োজন হয় ছাত্র সমাজ যেকোনো সময় এগিয়ে আসতে প্রস্তুত আছে বলেও জানান।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু কোটার জন্য হয়নি। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে ঘুষ, দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। ঘুষ খাওয়া চলবে না। যেভাবেই হোক ঘুষ খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page