সুমন খান:
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মিরপুর ঢাকা সার্কেল ১ কার্যালয়টি এখন ঘুষবাণিজ্য , ওপেন সিক্রেট দুর্নীতি আখড়া । এই এই দুর্নীতির আখড়া মূল নায়ক সহকারী পরিচালক মো শামসুল কবির,
তাকে ইন্ধন দিচ্ছে পরিচালক ও উপ- পরিচালক। বাংলাদেশের এই ক্লান্তি লগ্নে প্রধান উপদেষ্টা ডা:মো ইউনুস যে খানে বৈষম্য বিরোধী কার্যক্রম এ নিষদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু না বিআরটি এ এই রাঘববোয়ালদের কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না।মোটর সাইকেল মালিকানা ও রেজিষ্ট্রেশন শাখার সহকারী পরিচালক মো: শামসুল কবির, ঘুষ বানিজ্য এর নেশায় এতাটাই ব্যাকূল তোয়াক্কা করে না কাউকে। গত রবিবার পহেলা সেপ্টেম্বর সাংবাদিক এক অনুসন্ধানে গেলে বিআরটিএ ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির ও শোরুমের লোক। এসি আই কোম্পানীর সিফাত নামের এক লোক কে ফাইল সহ আনসারের পিসির কাছে সোপর্দ করলে। কিছুক্ষণ পর মটোযান পরিদর্শক মো:ফয়েজ পিসির সাথে খারাপ ব্যবহার করে নিয়ে আসে। আর বলে আপনাকে পরিচালক ডাকে।
সাংবাদিকের বুঝতে বাজী রইলো না। দূর্নিতীর ঘুটি কোথা থেকে ঘোরে।
নিতিমালায় উল্লেখ রয়েছে শোরুম থেকে গাড়ি কিনলে বিআরটি এ গিয়ে ক্রেতা কে সাহায্য করা।কিন্তু কোন ক্রেতা নেই শুধু শো-রুমর লোক, এক এক জন ডজনের উপড়ে ফাইল নিয়ে আসে, ব্যাংক জমা করে ও বিকেলে ৩০৬ নাম্বার রুম অফিস সহকারী নাজমা এর রুম থেকে স্লীপ ও ট্যাক্সটোকেন নিয়ে যায়।বিভিন্ন শোরুমের সাথে বর -বড় ডিল রয়েছে সহকারী পরিচালক মো শামসুল কবিরের, পরিচালক ও উপ-পরিচালক এর সাথে। মোটরসাইকেল ব্যাংক জমা ২ বছরের রেজিষ্ট্রেশন ১১হাজার টাকা।
সেখানে শোরুম নেয় ১৮হাজার টাকা।
এবং বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক মো :ফয়েজ কে প্রতি রেজিষ্ট্রেশন এ ৩থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে। যার বিনিময়ে হয় রেজিষ্ট্রেশন।
প্রতিটা ফাইলের টাকা দিন শেষে ভাগাভাগি হয়।দূর্নিতী দমন কমিশন খোজ নিলে পেয়ে যাবে, সহকারী পরিচালক মো শামসুল কবির, পরিচালক এর শত কোটি টাকার সম্পত্তি, উপ-পরিচালক এর বিলাশ বহুল জীবন। এর পিছনের কারন।
সরকারি ভাবে এদের যে বেতন তাতে এতো সম্পদ আর বিলাসবহুল জীবন সম্ভব নয়, সবি ঘুষের নৈরাজ্য।
সহকারী পরিচালক মো:শামসুল কবির, সেতো দূর্নিতীর গুরু,নারায়ণগঞ্জ শাখায় ও সে ঘুষ বানিজ্য করে আসছে। এর আগেও মিরপুর বিআরটি ছিলেন।
সিএনজি অবৈধ মালিকানায় ব্যাপক দূর্নিতী করে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। যা দূর্নীতি দমন কমিশনএ তদন্ত চলমান। সহকারী পরিচালক মো:শামসুল করিবের বড় শত্রু এখন সাংবাদিক।
তার কথা হচ্ছে আমি দুর্নীতি করবো আপনি বলার কে। আপনি কেন আসছেন?এরকম প্রশ্ন করে সাংবাদিককে। এই বৈষম্য বিরোধী সহকারী পরিচালক মো :শামসুল কবিরের পদত্যাগ চায় সেবাগ্রহীতারা। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত বিআরটিএ ও শোরুম কন্টাক্ট থাকবে, ততক্ষণ বৈষম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page