সুমন খান :
রাজধানীর মিরপুর, কাফরুল, পল্লবী ও দারুস সালাম থানার, রুপনগর সহ এলাকাজুড়ে এক বাবু নামের ব্যক্তিকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি একাধারে মাদক কারবারি, জুয়া সিন্ডিকেটের হোতা ও অসামাজিক কার্যকলাপের মূল কাণ্ডারি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয় কিংবা নীরবতার সুযোগে বাবু বহুদিন ধরে দাপটের সঙ্গে বেআইনি কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
মাদকের আখড়া ও যুব সমাজ ধ্বংসের পথে
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, বাবুর নির্দেশে এলাকায় তৈরি হয়েছে একাধিক গোপন আস্তানা। সেখানে প্রতিদিনই গাঁজা, ইয়াবা, আইসসহ নানা ধরনের মাদক সরবরাহ করা হয়। ভুক্তভোগী অভিভাবকরা জানান, কিশোর-যুবকদের টার্গেট করে এই সিন্ডিকেট। অল্প টাকার প্রলোভনে তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে মাদকের ফাঁদে, আর বাবু হয়ে উঠছে তাদের ধ্বংসের কারিগর।
জুয়ার আসরে রাত জাগা
শুধু মাদক নয়, বাবুর ছত্রছায়ায় প্রতিদিন বসছে জুয়ার আসর। পাড়ার বিভিন্ন স্থানে তাস, ক্যাসিনো স্টাইলের খেলা এবং টাকা লেনদেন চলে প্রকাশ্যে। এসব আসরে উঠতি বয়সী ছেলেরা রাতভর কাটিয়ে দিয়ে পরের দিন অকারণে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছে।
এলাকাবাসীর ক্ষোভ:
স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“আমরা বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু বাবু এতটাই প্রভাবশালী যে, পুলিশ এলেও টেকসই ব্যবস্থা নেয় না। দিন-দিন আমাদের সন্তানরা নষ্ট হচ্ছে।”
আরেকজন জানান,
“এই বাবুর কারণে আমাদের পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মাদক আর জুয়ার টাকা নিয়ে প্রতিনিয়ত মারামারি, ভাঙচুর হয়।”
প্রশাসনের প্রতি দাবি:
জনগণের দাবি, অবিলম্বে বাবুকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। শুধু বাবু নয়, তার সঙ্গে জড়িত পুরো চক্রকে উন্মোচন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এলাকাবাসী এক কণ্ঠে বলছে—
“মাদক–জুয়া থেকে সমাজকে মুক্ত করতে চাই, প্রশাসনকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page