নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ চেয়ারম্যান মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের যেকোনো স্থানে সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই বিআরটিএ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হবেন। যদি দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হন, তবে মৃত ব্যক্তির দাফন বা সৎকার পর্যন্ত কর্মকর্তারা পরিবারের পাশে থাকবেন। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের ফরম সরাসরি পরিবারের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

আজ শুক্রবার খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ড আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, দেশে যেখানে শুধুমাত্র ৪০ হাজার যানবাহন চলাচল করার কথা সেখানে চলছে এক লাখ ৪০ হাজার। সড়ক দুর্ঘটনার এটি একটি বড় কারণ। সুতরাং সড়ককে নিরাপদ করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্যদিয়ে একটি নিরাপদ সড়কের দেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে সরকার ইতোমধ্যেই নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলাচল বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে আরও জোরালো অভিযান চালানো হবে।

অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। এসময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আটটি পরিবারের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে খুলনা বিআরটিএর বিভাগীয় পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান, সহকারী উপপরিচালক তানভীর আহমেদ চৌধুরী, খুলনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) উসমান সারওয়ার আলম, জেলা বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোতালেব হোসেন, খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহিদ খান, খুলনা ট্রাক মালিক সমিতির সেক্রেটারি শেখ অহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র : বাসস