মোহাইমেনুর রহমান :
জলঢাকা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে (এনসিপি) ৩৬ দিনব্যাপী উপজেলার ডাকবাংলা মাঠে একটি ৩৬ জুলাই বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়।যদিও এই মেলা কুটির শিল্প মেলা হিসেবে পরিচিত।কৌশলগত কারণে এই মেলার ৩৬ জুলাই বিজয় মেলা নামে নামকরণ করা হয়।
যা গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলেও মেলার দিন যতই গড়াতে থাকে উত্তেজনা,চুরি ছিনতাই সহ নানা রকম অপরাধ বাড়তে থাকে।অসন্তোষ শুরু হয় সর্ব মহলে।মেলা শুরুর আগে এনসিপির সদস্যবৃন্দ এবং মেলা কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক এবং জলঢাকার সচেতন মহলকে বলা হয়েছিল এই মেলায় অনৈতিক কোন কার্যক্রম কেমন পরিচালিত হবে না তেমনি প্রবেশ টিকেটও থাকবে না।কিন্তু গতকালকে বিকাল চারটা নাগাদ হঠাৎ দর্শনার্থীগন টিকিট দেখতে পেয়ে চমকে যায়।
এ নিয়ে জলঢাকার সর্বসাধারণের ভিতরে ক্ষোপের সৃষ্টি হয়।সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভিটিস সদস্যগণ এই টিকিটের কারণ উদঘাটনের জন্য নানা মহল এবং মেলা কমিটির পক্ষ টিকিটের কারন জানার চেষ্টা করলেও কেউ জানে বলে সাফ জানিয়ে দেয়।এদিকে জাতীয় পার্টি জলঢাকা উপজেলার বেশ কিছু সদস্য ফেজবুকে পোস্ট দিয়ে তারা টিকিটের বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়ে দেয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জলঢাকা নাগরিক পার্টির দুইজন অন্যতম সদস্যের সাথে কথা বললে তারা বলেন যারা দলের সুনাম নষ্ট করতে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন ঘৃণিত কাজ করেছে তারা সংগঠনের কেউ হলে তাদের সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নীলফামারী জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্নয়কারীর সাথে মোঃ মোহাইমেনুর রহমান সানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জুলাই আমাদের আবেগ, জুলাই আমাদের চেতনা সেই জুলাইকে যারা ব্যবহার করে প্রবেশ টিকেটে এনসিপির নাম দিয়েছে তাদের ব্যাপারে নীলফামারী জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি জেনেছে এবং সচেতন আছে।
বিষয়টিতে আমাদের দলের কেউ জরিত থাকলে সাংগাঠনিক ভাবে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এবং যদি অন্য কোন ব্যক্তি বা দল এই টিকিটের সাথে জরিত থাকেলে সেটাও আমরা সাংগাঠনিক ভাবে মোকাবেলা করা হবে।মেলার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে মেলা কমিটির কেউ জানিনা বলে জানিয়ে দেয়।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page