মো: জিল্লুর রহমান :
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক আবাসিক হোটেলে অভিনব কায়কায় রমরমা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল মালিকরা। গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার গাজীপুরের কোনাবাড়ি বাজারে অবস্থিত মুন আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবক ও যুবতীকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অস্থাথায় আটক করেন কোনাবড়ি মেট্রো থানা অফিসার ইনচার্জ মো: সালাউদ্দীন আহম্মেদ। এ সময় স্থানীয় জনগন ও পথচারী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আটককৃতরা হলো মো:সিরাজুল ইসলাম, পিতা:মৃত- তাজুল ইসলাম,গ্রাম- কাঠালবাড়ি, থানা: কোম্পানীগঞ্জ, জেলা- সিলেট এবং স্ত্রী পরিচয় দানকারী ও মোছা:কুলসুম খাতুন, গ্রাম:দক্ষিন শালনা, থানা ও জেলা: গাজীপুর। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন শুধু মুন আবাসিক হোটেলই এখানে আরো কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে যেমন সানরাইজ আবাসিক হোটেল, রেইনবো আবাসিক হোটেল,নিরিবিলি আবাসিক হোটেল। মুন আবাসিক হোটেল ও নিরিবিলি আবাসিক হোটেল এর মালিক ও পরিচালক মো: ¯^পন মিয়া। এবং সানরাই আবাসিক হোটেল পরিচালক শ্রী তাপশ।
বিগত ১০ বছর যাবত নারী ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক জানা য়ায় যে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দু, স্থানীয় প্রশাসন এবং মিডিয়া প্রতিনিধিদের সাথে ¯^মনয় করেই এই হোটেল গুলোতে মাদক ও দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গত ১০ বছরে প্রায় শতাধিক বার প্রশাসনের কথিত অভিজানে ছোট খাটো শাস্তি ভোগ ও জরিমানা দিয়েছে কয়েকবার। ২৪এর ৫ আগষ্টের ছাত্র/জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর এই হোটেল গুলো প্রকাশ্য দিবালোকে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল স্থানীয় জনগন। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি তাদের দেহব্যবসা।
বিভিন্ন নতুন নতুন পদ্ধতিতে যেমন গ্রাম থেকে শহরে চাকুরী নিতে আসা, চাকুরীর ইন্টারভিউ দাতা, নবাগত দমপত্তির হ্যানিমুনে আসা, কলেজে ভর্তির জন্য আসা এবং ব্যবসায়ীর পরিচয় দিয়ে হোটেলে রুম বুক দেখিয়ে শু কৌশলে জমিয়ে তোলে তাদের হোটেল ব্যবস্য। কেউবা ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নগ্ন ছবি ও মোবাইল নাম্বার পোষ্ট করে খদ্দের সংগ্রহ করে বাসা বাড়িতেই নিরাপদে চালাচ্ছে দেহব্যবসা।
ঠিক এমন কৌশুল খাটিয়ে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে অবস্থিত একাধিক আবাসিক হোটেল চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। শুধু আবাসিক হোটেলেই নয় ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি সিনেমা হলেও চলছে অভিনব কায়দায় দেহব্যবসা। সিনেমা হল মালিকদের সাথে কথা বলে এবং বাস্তব চিত্র তুলে দেখানো হলেও হল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবী করেছেন। সিনেমা হল মালিকগন বলেন সিনেমা দেখতে আসা কেউ যদি তাদের গার্লফেন্ড নিসে আসে তাহলে আমরা তাদের সাথে কোন প্রকার খারাপ নজর দিতে পারি না।
কারন এটা সিনেমা দর্শকদের নিজ¯^ বিষয়। এতে হল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার দায়ী নয়। কিন্তু সংগ্রহকৃত ভিডিও ফুটেজ এবং ছবিতে যে সকল পতিতাদের সনাক্ত করা হয়েছে ঐ পতিতাগুলো প্রায় আট/দশ বছর ধরে সিনেমা হল মালিকদের সহযোগিতায় নিরাপদে তাদের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
প্রশাসন, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং অন লাইন নিউজ পোর্টাল সহ ফেসবুক ও ইউটিউবাররা একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও কোন প্রকার স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ দেখা যায়নি রাষ্ট্র পরিচালনা বা প্রশাসনিক কোন দপ্তরের। যার কারনে বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছেন অসাধু মহলের গডফাদাররা।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page