নাসরিন আক্তার-বিশেষ প্রতিনিধি :
বরগুনার তালতলী উপজেলার ৪ নং শারিকখালী ইউনিয়নে স্থানীয় বন বিভাগ কর্তৃক হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। দীঘদিন ধরে শারিকখালী ফরেষ্ট ক্যাম্প এর ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা হায়দার হোসেন ও তুষার মামলা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। অসাধু বন কমকর্তাদের মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট এলাকাবাসী। চাহিদা মত উৎকোচ না দেওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয় বলে জানান ভুক্তভুগীরা।
২০২০ সালে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চাউলাপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হুকুম দখলকৃত পতিত জলাশয় মৎস্য অধিদপ্তরাধীন ”জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প বাস্তবায়নের উপযোগী দাবী করে মৎস্য অফিস। এতে অনাপত্তি দেয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে ঘের কেটে মাছ চাষের উপযোগী ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করা হয়।
বন্যায় ঘেরের বিভিন্ন অংশ ছুটে গেলে স্থানীয় উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করতে ঘেরের একপাড় হতে মাটি কাটে। বন কমকর্তা হায়দার হোসেন ও তুষার উপকার ভোগীদের গাছ কাটা মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে এবং তাদের ভয়ে স্থানীয়রা কিছু টাকা দেয়। দাবিকৃত টাকা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ কতৃক হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ঘুষ দিয়েও মামলার আসামি হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হলে তুষার মুঠো ফোনে টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
সাবেক ইউপি সদস্য মো. নিজাম আকন বলেন, এখানে সরকারি বাঁধ সংস্কার করতে গিয়ে বন বিভাগের মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে স্থানীয়রা। মো. হাফিজুল হক সিকদার বলেন, আমার মাধ্যমে এটি মাছ চাষের জন্য খনন করা হয়েছে। উপকারভোগীদের মাধ্যমে সরকার মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। বাঁধ সংস্কার করতে গিয়ে যারা মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক।
সহকারী বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন (পটুয়াখালী-বরগুনা) বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page