জি. এস. জয় :
চারপাশে ধর্ষণ-নিপীড়ন বা এ ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকায় অনেকটা নিরাপত্তা-ঝুঁকিতে রয়েছেন নারীরা। এমন সময়েই মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্শাল হাসান। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তাদেরকে শেখানো শুরু করেন মার্শাল আর্ট। মার্শাল আর্ট শিখিয়ে, অনেক নারীকেই, নারীর নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন মার্শাল হাসান। সকলের মুখে একটিই নাম, ‘‘নিরাপত্তার অপর নাম মার্শাল হাসান’’।
ঠিক একইভাবে বেড়েছে ছিনতাই, লুটপাট, রাহাজানি, ডাকাতি ইত্যাদি, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। এজন্য মার্শাল হাসান ছেলে-মেয়ে উভয়কেই মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আত্মরক্ষা সহ আশে-পাশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য সকলকে তৈরি করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
দৈনিক জন জাগরণের সঙ্গে আলাপকালে কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী বলেন, ‘আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা প্রশাসন সবসময় দিতে পারবে না, তাই মার্শাল আর্টই আমাদের নিরাপত্তার একমাত্র ভরসা। সে কারণে মার্শাল আর্টস শিখেছি, শিখছি আর চর্চা করছি প্রতিদিন। পড়াশোনার জন্য স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে আমাদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু, শুধু মার্শাল আর্ট জানার কারণেই আমরা নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করি।’
কয়েকজন মেয়ে প্রশিক্ষণার্থীর বাবা মা জানান, আগে নারীদের মার্শাল আর্ট অনেকেই পছন্দ করতেন না। কিন্তু, সময়ের প্রয়োজনে এটি তাদের জন্য গুরুত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা মার্শাল আর্ট শিখেছে ও শিখছে, তাদেরকে এখন সমাজও ভালো দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে।
মার্শাল হাসান দৈনিক জন জাগরণকে বলেন, ‘মার্শাল আর্ট শুধু আত্মরক্ষার জন্য নয়, এটি দেহ ও মনকেও সতেজ-সবল রাখে। শরীরকে সুস্থ রাখতে মার্শাল আর্টের ভূমিকা রয়েছে। কাজের প্রতি কখনো অরুচি সৃষ্টি করে না। বরং কাজকে আরও গতিশীল করতে মার্শাল আর্ট অনুপ্রেরণা যুগিয়ে থাকে।’
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত আত্মরক্ষার কৌশল মার্শাল আর্ট খালি হাতে শত্রুর হাত থেকে যেমন নিজেকে রক্ষা করা যায়, তেমনি মার্শাল আর্ট অনুশীলনে নিজের শরীরকে সুস্থ রাখা যায় বলে মন্তব্য করেছেন টাংগাইলের মার্শাল হাসান।
জি. এস. জয়ের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মার্শাল হাসান বলেন, মার্শাল আর্ট শুধু শত্রু মোকাবেলায় নিজেকে রক্ষা করা যায় তা নয়, এ আর্ট চর্চার মাধ্যমে নিজের শরীরকে সুস্থও রাখা যায়। তাই পাঁচ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের স্কুল ভর্তির পাশাপাশি মার্শাল আর্ট চর্চা খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের দেশে খেলাধুলার তেমন কোনো স্থান না থাকায় প্রতিযোগিতামূলক কোনো খেলা চোখে পড়ে না। যার ফলে অনেক ছেলে মেয়েদের ক্রীড়ার তেমন বিকাশ ঘটে না। নির্দিষ্টভাবে কোনো খেলাধুলায় অনেক ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহণ না থাকায় তারা বিপথে চালিত হবার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হচ্ছে।
এসব ছেলে মেয়েদের যদি খেলাধুলা বা বিনোদনের দিকে ধাবিত করা হয়, তাহলে তারা অন্যায় কোনো কাজে জড়িত হওয়ার সুযোগ পাবে না। বিশ্বে ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলা যেমন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক এবং শরীর চর্চার একটি অংশ, তেমনি মার্শাল আর্টও আত্নরক্ষা কৌশল অনুশীলনের পাশাপাশি শরীর চর্চার একটি অংশ। তাই ছেলে মেয়েদের এবং যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে তাদের খেলাধুলা ও শরীর চর্চার মাধ্যম মার্শাল আর্টের প্রতি মনোযোগি করতে হবে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page