রায়হান শেখ :
প্রাচীনকাল: নড়াইল অঞ্চলটি প্রাচীন বাংলার অন্যতম সভ্য এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। ধারণা করা হয়, প্রাচীন যুগে এই অঞ্চলটি নদী ও খালবিলের জন্য বিখ্যাত ছিল এবং এখানে কৃষিভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠেছিল। মৌর্য, গুপ্ত ও সেন আমলে এই অঞ্চলে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রভাব ছিল।
মধ্যযুগ: মধ্যযুগে মুসলিম শাসনের আগমন ঘটে এই অঞ্চলে। এই সময়ে বিভিন্ন জমিদার ও নবাবরা নড়াইলে প্রভাব বিস্তার করেন। নড়াইল ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ জমিদার অঞ্চল। এখানে 'হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি' সহ বেশ কিছু প্রাচীন জমিদার বাড়ি আজও অতীত ইতিহাস বহন করছে।
ব্রিটিশ শাসনামল: ব্রিটিশ আমলে নড়াইল ছিল যশোর জেলার অন্তর্গত একটি মহকুমা। এ সময় শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিস্তার ঘটে। এখানকার জমিদার ও শিক্ষানুরাগীরা স্কুল, কলেজ ও লাইব্রেরি স্থাপন করেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় এখানকার লোকজনও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে।
মুক্তিযুদ্ধ: ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নড়াইল ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছেন। শহীদ মিনার ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ সেই বীরত্বপূর্ণ ইতিহাসের নিদর্শন।
জেলা প্রতিষ্ঠা: নড়াইল ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ যশোর জেলার একটি মহকুমা থেকে পৃথক হয়ে পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর থেকে প্রশাসনিক, শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াক্ষেত্রে নড়াইল ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করে।
---
🌟 নড়াইলের গর্ব ও ঐতিহ্য:
মাশরাফি বিন মর্তুজা – জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, নড়াইলের গর্ব।
ডা. নিহাররঞ্জন গুপ্ত – বিখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক।
পন্ডিত রবি শঙ্কর ও উদয় শঙ্কর – আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সঙ্গীতজ্ঞ ও নৃত্যশিল্পী।
চিত্রশিল্প ও সংস্কৃতি – নড়াইল চিত্রকলার জন্যও বিখ্যাত। এসএম সুলতানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
"চলো পাল্টাই বাংলাদেশ" – একটি উদীয়মান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যা নড়াইলের যুবসমাজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করছে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page