সাইমন :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিনটিকে সামনে রেখে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটের দিন ঘোষণা ছাড়া অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
ছবিসহ হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রস্তুত
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পন্ন
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া তৈরি
সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা চূড়ান্তকরণ
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কাজ আগস্টে শেষ হবে
ভোটের সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে
নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের অন্তত ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে, অর্থাৎ ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই ভোটকেন্দ্র স্থাপন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম বিতরণসহ বাকি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে শেষ করবে কমিশন।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যাপারে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব থাকায় এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ফেব্রুয়ারির ৫ অথবা ১২ তারিখে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ভোটগ্রহণের পরপরই দুই দিনের ছুটি দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে কমিশন, যাতে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আরও নিশ্চিত করা যায়।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন,
“জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ অল্প সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানতে পারবে। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। বাকিটুকু তফসিল ঘোষণার পর দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।”
দেশবাসী এখন অধীর আগ্রহে চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণার অপেক্ষায়। কমিশনের প্রস্তুতি ও সরকারের অবস্থান ইতিবাচক থাকায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়েই—এমনটাই প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page