সৈয়দ রুবেল-নড়াইল :
নড়াইল সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসে কর্মরত এ.আই.টেকনিশিয়ান মলয় মিত্রের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। সরকারি দায়িত্বে থেকেও দায়িত্ববোধের চেয়ে ‘দাপট’ যেনই তার প্রধান পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ব্যবহার, সময়মতো সেবা না দেওয়া, অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে অতিষ্ঠ খামারিরা এখন প্রতিবাদের ভাষা খুঁজছেন।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তা হয়েও মলয় মিত্রের কথাবার্তা, আচরণ ও সেবাদানের ধরন একজন বেসরকারি ‘দাম্ভিক ডাক্তার’-এর মতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি জানান, “গরু গরমকাল এলে বারবার ফোন দিয়েছি, ধরেননি। পরে একজন চেয়ারম্যান সাহেবের রেফারেন্সে গেলে সাড়া দেন, আর সঙ্গে সঙ্গেই টাকা চেয়ে বসেন!”
অভিযোগ রয়েছে, যেসব সেবা সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে দেওয়ার কথা, সেগুলোর পেছনেও ‘আনঅফিশিয়াল ফি’ গুনতে হয়। নির্ধারিত সময়ের বাইরে আসা, গরুর প্রজনন সেবায় গড়িমসি করা ও দরিদ্র খামারিদের অবহেলা করাই হয়ে উঠেছে তার নিত্যদিনের আচরণ।
অভিযোগের বিষয়ে এ.আই. টেকনিশিয়ান মলয় মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করলেও সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার কুন্ডু বলেন, ’‘এখনো লিখিত কিছু না পেলেও, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। সরকারি সেবায় কারো অবহেলা থাকলে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে সরকার যেখানে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতকে প্রাধান্য দিয়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে, সেখানে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এহেন অবহেলা ও হয়রানি জনসেবার সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করছে সচেতন মহল। তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে।
।। প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: শিহাব উদ্দিন ।। নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস. জয় ।।
দৈনিক জন জাগরণ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@২০২৫You cannot copy content of this page